ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আগামীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়ন করে সাত বিভাগে পৃথক প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রণয়ন’ সংক্রান্ত কমিটির সভায় এই সুপারিশ এসেছে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস রাতে বাংলানিউজকে বলেন, সভায় আগামী বছর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমত একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।
গত নভেম্বর মাসে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় ৩১ লাখ পরীক্ষার্থী।
এবার মাত্র এক সেট প্রশ্ন তৈরি করে তা দিয়েই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, এতে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দ্রুত ফেইসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে যায়।
মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সাত বিভাগে সাত সেট প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণে সুপারিশ এসেছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র।
এজন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি প্রশ্নব্যাংক তৈরি করে সেখান থেকে পরীক্ষার দিন প্রশ্ন সেট নির্বাচন করে তাৎক্ষণিকভাবে ছাপিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করার সুপারিশ এসেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপক অভিযোগের মধ্যে এই সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করার দাবি উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব বলেন, কীভাবে আরো স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণ করা যায় সে বিষয়েই শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং ন্যাপের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল, রাশেদা কে চৌধুরী, মোস্তফা জব্বারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বুয়েটের আইসিটি সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। – বাংলানিউজ