বিএনপি চেয়ারপর্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মিছিলে পুলিশকে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা রমনা থানার মামলায় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ৩৬ মাসে ২৪টি তারিখে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন, আমিরুল ইসলাম খান, হাবিুন্নবী সোহেল, মিজানুর রহমান, আবদুল আউয়াল, মো. কামাল, জাহাঙ্গীর হোসেন, রিপন মন্ডল, দেলোয়ার হোসেন, মোখলেসুর রহমান, ওমর ফারুক, আবু শফি খান এবং মো. হেলাল।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আগামী ১০ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
এ দিন আসামিরা সবাই আদালতে হাজির ছিলেন। অভিযোগ গঠনের আগে আসামিদের বিরুদ্দে আসা পুলিশকে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ পড়ে শোনালে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিহার হোসেন ফারুক।
২০১১ সালের ১৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৩৩/৩৩২/৩৫৩/৪২৭ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বেআইনি একতাবদ্ধ হয়ে লাঠি, লোহার রড, হাকিষ্টিকসহ মারমসুকী হয়ে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় রাস্তায় থাকা গাড়ি, সায়হাম স্কাইভিউ টাওয়ারসহ আশপাশের বিভিন্ন দোকানপাট ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে রমনা থানার ওসি বাম পায়ে মারত্মক জখম হন।
এ ঘটনায় ওই দিনই সুলতান সালাউদ্দিন আহমেদ টুকু, হাবিবুন্নবী সোহেল এবং আমিরুল ইসলাম আমিরসহ ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।