রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেয়ার প্রশ্নে মামলার বিচারের এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে কিনা জানতে চেয়ে একজন কৌঁসুলি যে আবেদন করেছেন, তাকে অর্থহীন বলে আখ্যায়িত করেছে মিয়ানমার। দেশটি বলেছে, এ আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা মিয়ানমারের নেই।
আর মিয়ানমার যেহেতু ওই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়, সেহেতু এ ধরনের কোনো মামলা শুরু করা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য একটি বিপজ্জনক নজির তৈরি করবে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির দফতর বলেছে, আইসিসির প্রশ্নের আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব তারা দেবে না।
এতে বলা হয়েছে, আইসিসির কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদার ওই আবেদন মিয়ানমারের ওপর বিচারিক এখতিয়ার পাওয়ার একটি পরোক্ষ চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে, যদিও মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যই নয়।
মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য না হওয়ায় সেখানে সংঘটিত অপরাধের বিচার করার সরাসরি কোনো এখতিয়ার এ আদালতের নেই।
কিন্তু রোহিঙ্গারা যেহেতু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, এভাবে তাদের বিতাড়নের বিষয়টি যেহেতু আন্তঃসীমান্ত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে এবং বাংলাদেশ যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য, সেহেতু আইসিসি বিষয়টি বিচারের এখতিয়ার রাখে বলে রুল পাওয়া গেলে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার পথ তৈরি হবে বলে ফাতোও বেনসুদার আশা করছেন।
সু চির দফদতর বলেছে, এ আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা মিয়ানমারের নেই। আর মিয়ানমার যেহেতু ওই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য নয়, সেহেতু এ ধরনের কোনো মামলা শুরু করা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য একটি বিপজ্জনক নজির তৈরি করবে।