নারায়ণগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাব-১১ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ৬ মাদক ব্যবসায়ী। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ কেজি গাঁজা, ৯০ বোতল দেশীয় মদ (আনুমানিক ৫০ লিটার), ৪০০ পুরিয়া হেরোইন, মাদক বিক্রির ৫ হাজার ৭শ টাকা ও মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল সেট।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ও সকালে ফতুল্লায় ও শহরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো নারায়ণগঞ্জ শহরের কুটিপাড়া রেলিবাগান এলাকার মৃত ওয়াদুদের ছেলে জসিম (৪২), শহরের ডিআইটি এলাকায় মজিদ শেখের ছেলে জুয়েল (২৩), ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার মৃত আলীর মিয়া স্ত্রী জমিলা বেগম (৬৫), একই এলাকার এলাহী বক্সের ছেলে শুক্কুর আলী (৪০), ফতুল্লার উত্তর ভূইগড় এলাকার হারুনের স্ত্রী মোসাম্মৎ রাজিয়া বেগম (৩২) ও একই এলাকার ফারুকের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে র্যাব-১১ এর এএসপি বাবুল আখতার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় শহরের এসএম মালেহ রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে মাদক ও মাদক বিক্রির টাকাসহ জসিম ও জুয়েলকে আটক করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ৯০ বোতল দেশীয় মদ (আনুমানিক ৫০ লিটার), মাদক বিক্রির ৫ হাজার ৭শ টাকা ও মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ৩ টি মোবাইল সেট। তারা দীর্ঘদিন এই এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন জানান, ডিবির এসআই মনির হোসেন, এসআই মজিবর রহমান ও এসআই রবি চরণ চৌহানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ভোরে ফতুল্লার উত্তর ভূইগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ কেজি গাজাসহ রাজিয়া বেগম ও রাজিয়া সুলতানা নামের দুই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই সায়েম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০০ পুরিয়া হেরোইনসহ মাদক সম্রাজ্ঞী জমিলা ও তার সহযোগী শুক্কুরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জমিলা এর আগেও একাধিকবার মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।
সম্প্রতি সে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত দিয়েছিল সে আর মাদক ব্যবসা করবে না। কিন্তু এরপরেও সে মাদক ব্যবসা ছাড়েনি। সে প্রায় সময়ই এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করতো বলেও অভিযোগ রয়েছে।