বঙ্গোপসাগরে জেলেদের নিরাপত্তাসহ বনদস্যুদের দমন ও বাগেরহাটের শরণখোলায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি। আজ বৃহস্পদিবার দুপুরে শরণখোলার রায়েন্দা বাজারে ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভায় সরকারের কাছে এই ৩ দফা দাবি জানানো হয়।
সভায় রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, মৎস্য ব্যবসায় জড়িত মহাজন ও জেলেসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্যজীবীরা জানান, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় সহস্রাধিক ফিশিং ট্রলার রয়েছে। এসব ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগর থেকে হাজার হাজার মণ ইলিশ ও অন্যান্য মাছ আহরণ করে ফিরে আসে। কিন্তু শরণখোলায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র না থাকায় আহরিত এসব মাছ বিক্রির জন্য বাগেরহাট ও খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠাতে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। তাছাড়া, এবছর মৌসুমের শুরু থেকেই বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে বনদস্যুদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই, বঙ্গোপসাগর দস্যুমুক্ত করাসহ শরণখোলায় একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মানের জন্য সভা থেকে সরকারের কাছে দাবি জানোনো হয়।
শরণখোলা উপজেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মৎস্য ব্যবসায়ী এম সাইফুল ইসলাম খোকন, ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম কালাম, মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সরোয়ার হোসেন, মো. জামাল হোসেন, কবির আড়ৎদার, রহমত উল্লাহ্ অনু, পলাশ মাহমুদ, বেলায়েত হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।