ঢাকা: রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যিালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকরা। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আবারো গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকালে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ-তে নেয়া হয় শহিদুল আলমকে।
বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, আজ সকালে বিএসএমএমইউতে আসার পর তাকে কেবিনে নেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিক চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিসিন অনুষদের ডিন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহকে প্রধান করে সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হারিছুল হক, অর্থোপেডিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান আবু জাফর চৌধুরী বিরুকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির নির্দেশনা আনুযায়ী শহিদুল আলমের এক্সরে, ইসিজি, ইকো, রক্ত পরীক্ষাসহ আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।
তার এসব পরীক্ষা নিরীক্ষা ৫১২ নম্বর রুমে সম্পন্ন হয়। এরপর তার কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। সব টেস্টের রিপোর্ট হাতে এসেছে। মেডিকেল টিম রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন যে, তিনি (শহিদুল আলম) ভর্তিযোগ্য নন। বোর্ড তাকে ডিসচার্জ করে দেন। ড. শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে আনা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেগুলো পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়েছে সেগুলোতে আশঙ্কাজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
ওনার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনিতো হেঁটেই চলাফেরা করছেন।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে আজ সকাল ৯ টায় ড. শহিদুল আলমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে আবার পুলিশি হেফাজতে নিয়া যাওয়া হয়।
এদিকে দেখা করতে দেয়া হয়নি আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেনকে। এ বিষয়ে পুলিশ বলেছে, তিনি রিমান্ডে আছেন। তাই কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না।