শান্তিতে এ বছরের নোবেল পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই ও ভারতের কৈলাস সত্যার্থীকে। কিছুক্ষণ আগে যখন তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয় তখন পুরো হলরুম করতালিতে ফেটে পড়ছিল। এ রিপোর্ট লেখার সময়ও চলছিল অনুষ্ঠান। মেয়ে শিশুদের শিক্ষার প্রচার, প্রসার ও তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের অগ্রপথিক পাকিস্তানের ১৭ বছর বয়সী নির্ভীক কিশোরী মালালা ইউসুফজাই সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। মালালার সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করলেন ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী (৬০)। এরই মধ্যে বহু বিরল সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন মালালা। নোবেল গ্রহণের প্রাক্কালে এক সংবাদ সম্মেলনে মালালা ইউসুফজাই বলেন, আমরা এখানে শুধু আমাদের পুরস্কার গ্রহণ করতে আসি নি, এই মেডেলটি নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে আসি নি। আমরা এখানে বিশেষ করে শিশুদের বলতে এসেছি, তোমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে, তোমাদের অধিকার সম্পর্কে তোমাদেরকেই মুখ খুলতে হবে। তোমরাই পারো বিশ্বকে পরিবর্তন করতে। ১৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় মালালার মাথায় গুলি করে তালেবানরা। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর অবস্থায় তাকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। বার্মিংহামের একটি হাসপাতালে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয় এবং ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন মালালা। সেখানেই স্কুলে ভর্তি হন তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে সেখানে বসবাস করতে শুরু করে। মালালা মেয়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেখানেই বিভিন্ন কর্মকা- পরিচালনা করছেন এবং এ পর্যন্ত নানা বিরল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।