নরসিংদীর রায়পুরার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে করে নদী ভাঙ্গণের ঝুঁকিতে পড়েছে উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম।
এ অবস্থা চলতে থাকলে নদী ভাঙ্গণে বিলীন হয়ে যাবে গ্রামগুলো, ভিটেহারা হবে ৩০ হাজার মানুষ। তাই নদী ভাঙ্গণের হাত থেকে বাঁচাতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তেলনকারীদের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেছে ভোক্তভোগী গ্রামবাসী।
গ্রামবাসীরা জানান, রায়পুরা উপজেলার বেগমাবাদ, ঝাউকান্দি, গৌরীপুর, তুলাতুলি, কড়ইপুর, হুগলাকান্দি, কাচারীকান্দি, থানাকান্দি ও মধ্যের চর গ্রামগুলো মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। গ্রামগুলোতে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৩০ হাজার লোকের বসবাস।
মেঘনা নদীর চর বেগমাবাদ ও গৌরীপুর ইজারা এলাকায় সরকার ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৩/৪টি ড্রেজার দ্বারা বালি উত্তোলনের ফলে নদী অতি গভিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ড্রেজারগুলি ইজারা অঞ্চলের বাহিরে এসে বালু উত্তেলন শুরু করেছে। এতে করে ওই এলাকাগুলোতে ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নদী ভাঙ্গণের ফলে জনপদটি বিলীন হয়ে যাওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে।
ফলে ড্রেজারে লোকজনের সাথে যে কোন সময় এলাকাবাসীর ভয়াবহ সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে।
এই অবস্থায় নদী ভাঙ্গণের হাত থেকে বাঁচাতে মাঠে নেমেছে গ্রামবাসী। সম্প্রতি গ্রামবাসী প্রতিবাদ সভা করে অবৈধভাবে বালু উত্তেলন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও মহেষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরহান হোসেন চাঁন মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহেষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি ইদ্রিস আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ আলী, হাবিল মেম্বার ও সামসুল আলম মুকুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে মহেষপুর মেঘনাগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই মহেষপুরকে বাঁচানোর জন্য এ আন্দোলন। যতক্ষণ পর্যন্ত মেঘনা নদীতে ড্রেজার বন্ধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। বক্তারা ইজারা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।