কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে নোংরা রাজনীতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তাঁর মতে, নানা গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা। তাই দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে সময় দিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাসায় ফেরার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীদের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী ঘরে ফিরেছে। কিছুসংখ্যক এখনো রাজপথে আছে। তোমাদের জীবন নিয়ে আমি শঙ্কিত। তোমাদের জীবনের জন্য তোমরা ঘরে ফিরে যাও।’ দাবি আদায় না হলে আবার রাস্তায় নামা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, তাঁদের কোনো সুপারিশ আইনে যুক্ত করা হয়নি। সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে তাঁদের সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘সড়ক পরিবহন আইন’ না করে ‘সড়ক পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা আইন’ করা উচিত ছিল।
আইনে থাকা বিভিন্ন ধারা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর রাখা হয়েছে। অথচ সর্বনিম্ন শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। আইনে বলা হয়েছে, হত্যা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু সেটা হবে তদন্তসাপেক্ষে ৩০২ ধারায়। এতে সাধারণ লোকজন ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তিনি মনে করেন সব সময় চালককে দোষী ভাবা ঠিক নয়। দায়ী মালিক হতে পারে, পথচারীও হতে পারে। তাই আইনে ‘চালক’ শব্দটির পরিবর্তে ‘দায়ী ব্যক্তি’ ব্যবহার করা যেত। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মতো সড়ক পরিবহন আইনেও জামিন অযোগ্য বিধানটি রাখা যেত বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খান বলেন, ফিটনেসের পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ, চোখে দেখে পৃথিবীর কোথাও ফিটনেস দেওয়া হয় না। ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টারের মাধ্যমে করা হয়, এখানেও তা করতে হবে। চোখে দেখা মানেই টাকার কারবার। মেশিনে পরীক্ষা করলে লক্করঝক্কর গাড়ি ফিটনেস পাবে না।