রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীকে পিষে মারার ঘটনায় গ্রেফতার জাবালে নূর পরিবহনের চার কর্মীকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- দুই বাসের চালক সোহাগ আলী ও জুবায়ের এবং হেলপার এনায়েত হোসেন ও রিপন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকতা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। এ সময় মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (সিডি) না থাকায় রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই উঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন ও আহত হয় ৯ জন।
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব (১৭) এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম (১৬)।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই দিন রাত ও পরদিন সকালে রাজধানী ঢাকা এবং বরগুনায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।