বিমানবন্দর সড়কের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজধানী ঢাকা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশেও।
এরই মধ্যে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কোন ক্ষমতা বলে মন্ত্রী পদে থেকে এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ফেডারেশনে কার্যকরী সভাপতি রয়েছেন তার ব্যাখ্যা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
রেজিস্ট্রি ও ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার এ নোটিশটি পাঠান। নোটিশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় তফসিলের ১৪৮ ধারা মতে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। সংবিধান সংরক্ষণ, সব নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ ও রাগ-অনুরাগ বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না। যেহেতু শ্রমিক সংগঠন একটি কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট (সিবিএ) যা শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করার নিয়ম রয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী হয়েও আপনি সিবিএ এর কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যা অসাংবিধানিক।
নোটিশে আরও বলা হয়, শ্রমিক যদি কোনো সমস্যা বা অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে তবে, ব্যবস্থা নেবে শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন। আপনি একজন মন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সাংবিধানিক এবং নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের হোটেল র্যাডিসনের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দু’টি বাসের প্রতিযোগিতায় নির্মমভাবে প্রাণ হারান শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম সজীব। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। তারা সবাই ফুটপাথে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরপরই নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও আন্দোলন।