রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা। এক নম্বর সড়কে এলোমেলো রিকশা চলছিলো। দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় থাকা স্কুল-কলেজের একদল শিক্ষার্থী এগিয়ে আসেন। রিকশাচালকদের উদ্দেশে বলেন, এক লাইনে চলেন মামা, এক লাইনে! মুহূর্তেই এলাকার চিত্র পাল্টে যায়। সব রিকশাচালকরা রাস্তার দুইপাশে এক লাইনে চলে যান।
ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে গণমাধ্যমকর্মী আনিস আলমগীর লিখেছেন, ‘পোলাপাইন ট্রাফিকপুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে। ধানমণ্ডি হয়ে নিউমার্কেট যাচ্ছি।’ তিনি আরও লিখেন, ‘ট্রাফিকপুলিশকেও এরা প্রশিক্ষণ দিলে ভালো হতো। আগেও বলেছি রাস্তার অবাধ খুনের মূলে ট্রাফিকপুলিশ।’
এনামুল হক লিখেছন, ‘এমন দৃশ্য তেমন একটা চোখে পড়ে না’
বদরুল আলম চৌধুরী লিখেছেন, ‘রোভার স্কাউটের ছেলে-মেয়েদেরে দিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করানো উচিত। এতে দেশের ট্রাফিক পুলিশরা কিছুটা হলেও শিক্ষা পাবে।’
জিয়া খোন্দকার লিখেছেন, ‘অভিনন্দন। বড়রা যা পারে না ওরা তা করছে।’
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ, ধানমণ্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, বনশ্রী, রামপুরা, খিলক্ষেত, ভাটারা, মিরপুর এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন। বেশির ভাগ সড়কে বাস চলাচল নেই বললেই চলে। যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যস্থলের দিকে চলছেন।