আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী ১১ আগস্ট শপথ নেবেন ইমরান খান। তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) সরকার গঠনে এখনো ছোট দলগুলোর কাছে ধরনা দিতে হচ্ছে।
২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হলেও এককভাবে সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি। ১৩৭ আসনের জন্য অপর রাজনৈতিক দল ও নিরপেক্ষ পার্লামেন্ট সদস্যদের নিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন ইমরান।
রেডিও পাকিস্তানের খবরে জানানো হয়, ইমরান খান জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের তিন দিন আগে ১১ আগস্ট তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
গত শনিবার পিটিআইয়ের মুখপাত্র নিয়ামুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, স্বাধীনতা দিবসের আগেই ইমরান খান শপথ নেবেন।
গালফ নিউজের খবরে জানানো হয়, খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে পিটিআই থেকে নির্বাচিত নতুন সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে ইমরান বলেন, ‘আমি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে হবে, সেই সিদ্ধান্তও নিয়েছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা ঘোষণা দেব।’
এই প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ৯৯টি আসনের মধ্যে ৬৫টি আসন জিতেছে পিটিআই, যা মোট আসনের দুই-তৃতীয়াংশ।
ইমরান বলেন, সিন্ধু প্রদেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা হবে তাঁর সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
পিটিআই যদি কেন্দ্রে সরকার গঠনে সমর্থ হয়, তাহলে প্রধান দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি পার্লামেন্টে যৌথ বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল দুটি ‘সমন্বিত যৌথ কৌশল’ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন জানায়, ২৫ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনের পর রোববার পিএমএল-এন ও পিপিপির নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রত্যক্ষ বৈঠকে দল দুটি সহযোগিতার ভিত্তিতে ব্যাপক সমঝোতার ব্যাপারে একমত হয়। নির্বাচনে পিএমএল-এন ও পিপিপি যথাক্রমে ৬৪ ও ৪৩টি আসনে জিতেছে।
পরে পিপিপির নেতারা মুত্তাহিদা মজলিশ-ই-আলমের (এমএমএ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য বোঝান। এমএমএ ১২টি আসন পেয়েছে। পিপিপি, পিএমএল-এন ও এমএমএ যৌথভাবে ১১৯টি আসন পেয়েছে, যা ইমরানের দলের চেয়ে দুটি বেশি।