বরিশাল:কাশিপুরের ইছাকাঠি কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন গৃহবধূ শারমিন আক্তার। জীবনের প্রথম ভোট। তাই উৎসাহ বেশি। ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে স্বামীকে জানালেন, কাকে কাউন্সিলর ভোট, কাকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট দিয়েছেন। প্রশ্ন করলেন স্বামী, মেয়র ভোট কাকে দিলা? স্ত্রীর উত্তর, মেয়র ভোটতো দুপুরের পর। আমাকে বলল এই দুইটা ব্যালট এখন দিন, দুপুরের পর মেয়র ভোট দেবেন।
স্বামী সুমন জানান, তিনি কেন্দ্রেই যাবেন না।
২নং ওয়ার্ডে মোতালেব মিয়া বলেন, সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছি। এখন পৌনে নয়টা বাজে। লাইনের ২-১ জন ঢুকছে ১৫-২০ মিনিট পরপর। অথচ ভিতরে একদল যুবক ঢুকছে আর বের হচ্ছে। পুলিশও কিছু বলছে না। আর আমরা লাইনে দাড়িয়েই আছি।
৪ নং ওয়ার্ডে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ভদ্রলোক বলেন, এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। শেষ পর্যন্ত এলাকার ছোট এক ভাই বলল- দাদা বিকালে আসেন। এখন অন্য কাজ চলছে।
১১টি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখো গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে শতশত যুবক নৌকার ব্যাজ পরে ঘোরা ফেরা করলেও ধানের শীষের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এরা অবাধে কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকছে আর বের হচ্ছে। আর নারী পুরুষ সব লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ভোটে দেবার অপেক্ষায়।
বরিশালের প্রায় সব কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন। পুলিশ প্রহরা চলছে। রাস্তায় বিজিবি টহল দিচ্ছে। র্যাবের গাড়িগুলো ঘুরছে সব স্থানে। সুনশান পরিবেশ। সকাল সাড়ে আটটায় নিজের ভোট দিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ। বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। এই কেন্দ্রেই ভোট দেবেন তার পিতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
নিজ বাড়ির সামনের কেন্দ্রে সৈয়দা মজিদুন্নেছা বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ধানের শীষের ব্যাজ পরে কেউ কেন্দ্রের সামনেই যেতে পারছে না।