হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: গতকাল শনিবার (২৮জুলাই) মধ্যরাতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেছেন মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া নিয়মের মাঝে মিছিল, সভা, আর মাইকিংয়ের মাধ্যমে গোটা সিটি কর্পোরেশন এলাকা জুড়ে ছিল বর্ণাঢ্য প্রচারণা। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ভোটারদের মধ্যে। সকল স্তরের ভোটারদের প্রত্যাশা এবারের সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাধ্যে যিনি সৎ ও যোগ্য তারই জয় হবে। ভোটাররা সে লক্ষ্যেই প্রার্থী নির্বাচন প্রায় করেই ফেলেছেন।
আগামী ৩০জুলাই সোমবার চতুর্থবারের মত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনার শেষ দিনে মাঠ চষে বেড়িছেন সর্মথকদের বহর নিয়ে। প্রচারণায় প্রার্থীদের পক্ষে তরুন ও নারী কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা দেখা গেছে বেশি।
আগামী ৩০জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট উৎসবে মেতে উঠেছে মেয়র প্রার্থী ও সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
২৭টি ওয়ার্ডের মাধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ওয়ার্ড ২২নং ওয়ার্ড শাহজালাল উপশহর। যা সিলেটের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা হিসেবে খ্যাত। ২২নং
ওয়ার্ডে সরজমিন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
তারা হলেন এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম (টিফিন ক্যারিয়ার), সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন (রেডিও), আবু জাফর (লাটিম), দিদার হোসেন রুবেল (ঘুড়ি), ইব্রাহিম খান সাদেক (এসি মার্কা), ফজলে রাব্বী চৌধরী (মিষ্টি কুমরা)।
এ ওয়ার্ডে এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম (টিফিন ক্যারিয়ার), সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন (রেডিও), নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাই কিছুটা হলেও শঙ্কামুক্ত রয়েছেন দুনু প্রার্থী। ভোটারদের ধারণা এখানে টিফিন ক্যারিয়ার ও রেডিও প্রতিকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে।
ভোটাররা বলেন, এ ওয়ার্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম (টিফিন ক্যারিয়ার), সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন (রেডিও) মার্কার মাধ্যে।
তবে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম। তাছাড়া ছয় প্রার্থীর মাধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম। ক্লিন ইমেজের কারনে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২২নং ওয়ার্ডে দশটি ব্লকে মোট ১০হাজার সাতশত ২১ভোট রয়েছে। এর মাধ্যে পুরুষ ভোটার ৫,৬২৩ জন আর নারী ভোটার ৪০৯৮জন।