মাটির থেকে ৪০ ফিটেরও বেশি গভীরে খোঁজ পাওয়া গেল একটি প্রাচীন রহস্যময় রোমান গির্জার। গুপ্ত পেগন ধর্মের উপাসনার জন্য তৈরি হয়েছিল এই গির্জাটি।
২ হাজার বছর পুরনো এই গির্জাটি সলিড টাফা ভলকানিক পাথর খোদাই করে বের করা হয়েছে।
এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯১৭ সালে যখন রোম থেকে ক্যাসিনো পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হয়। তখনই মাটির নিচে গর্ত খোঁড়ার সময়ে খোঁজ মেলে একটি গুপ্ত রাস্তার। সেই থেকে শুরু হয়েছিল এই গির্জাটির পুনরুদ্ধারের কাজ। এত বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অবশেষে ৪০ ফুট লম্বা এই গির্জাটিকে দাঁড় করানো গেছে। একইসঙ্গে গির্জাটির দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে জনসাধারণের জন্য।
এই গির্জাটি দেখলেই চোখ ধাঁধিয়ে যেতে বাধ্য। কারণ এর ভিতরে রয়েছে অসাধারণ সব ভাস্কর্য। দেব-দেবীর মূর্তির পাশাপাশি রয়েছে প্যান্থার, সপক্ষ কিন্নর, পিগমি (বেঁটে পরী) এবং আরও নানা রকম মূর্তি।
খ্রিস্টধর্ম প্রচারের বহু আগে এই গির্জাটি তৈরি করেছিলেন রোমের এক ধনী পরিবার। সেই পরিবারের সদস্যরা নিওপিথাগোরানিজমের ভক্ত ছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে রহস্যময় হেলেনিস্টিক দর্শনের একটি অঙ্গ ছিল এটি। পিথাগোরাস এবং প্লেটোর লেখার উপরে ভিত্তি করেই এই বিশ্বাসের জন্ম।