ঢাকা: পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তানের প্রকাশ করা উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। এতে বলা হয়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের আগে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল। এছাড়া সংবাদ মাধ্য ও জনসভা করার স্বাধীনতায় ছিল সীমাবদ্ধতা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেন, নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে ত্রুটি ছিল এবং সে বিষয়ে হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রও সেই একই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। নির্বাচনী প্রচারণাকালে মত প্রকাশের স্বাধীনা ও জনসভা করার ওপর সীমাবদ্ধতা ছিল। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ সুষ্ঠু ও স্বচ্চ একটি নির্বাচন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু ওইসব ঘটনা তার বিপরীতমুখী। হিদার নুয়ার্ট আরো বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইলেকশন অবজারভেশন মিশন পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে তার সঙ্গে একমত যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নির্বাচনী কাঠামোতে আইনগত ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সব দলের প্রচারণায় সমান অধিকার না থাথাকায় সেই উদ্দেশ্যের ওপর ছায়া ফেলেছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর অননুমোদন রয়েছে। এ জন্য ভোটারদেরকে এসব প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গভাবে বর্জন করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। হিদার নুয়ার্ট বলেন, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের রাজনীতিতে সব দলের অংশগ্রহণের বিস্তৃত সুযোগ সৃষ্টির জন্য অব্যাহতভাবে উৎসাহ দিয়ে যাবে, যাতে গণতান্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরো শক্তিশালী হয়।