কলকাতা: কংগ্রেসের নবগঠিত ওয়ার্কিং কমিটিতে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করার যে দাবি উঠেছিল সে পথে হাঁটতে রাজি হয়নি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শুধু জানানো হয় যে, রাহুল গান্ধীই হবেন কংগ্রেসের মুখ। আর যে কোনও পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নমনীয় হতে তৈরি। আর তার পরেই বিরোধী শিবিরের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্রে বলা হয়েছে, বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা মায়াবতীর মতো কাউকে মেনে নিতে দলের আপত্তি নেই। আসলে বিরোধী শিবিরের অনেকেই প্রধানমন্ত্রী হতে আগ্রহী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন এই তালিকায় রযেছেন তেমনি রয়েছেন মায়াবতীও।
কংগ্রেস অবশ্য মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীত্বেও থেকেও এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হল বিজেপিকে হারানো। মমতা সম্পর্কে তাঁর মত, তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস থেকে এসেছেন। ফলে আরএসএসের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে জটও কেটে যাবে। মায়াবতীর সঙ্গে জোটের পক্ষেই কংগ্রেস একথা জানিয়ে দেওয়া হযেছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের পরেই ঠিক হবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। আর কংগ্রেস যদি বড় দল হিসেবে উঠে আসে তবে অঙ্কের হিসেবেই জোটের প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবে গৌড়া রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার যে কোনও প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন বলেছেন। এমনকি শারদ পাওয়ারের তরফেও বলা হয়েছে, মানুষ রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলে এনসিপির বিরোধিতা করার প্রশ্ন নেই। কংগ্রেস অবশ্য মোদীকে হারানোর যে অঙ্ক কষেছে তাতে তাদের আশা ১২টি রাজ্যে নিজেদের শক্তিতে শ দেড়েক আসন পাবে। বাকি রাজ্যে শরিকদের সঙ্গে মিলে আরও দেড়শো। রাহুল মনে করেন, উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে বিরোধীদের সার্বিক জোট প্রায় হয়েই গিয়েছে। জোটের কাছে কোণঠাসা বিজেপি ওই দুই রাজ্যে তলানিতে ঠেকবে। সব মিলিয়ে গোটা দেশে কোনও অবস্থাতেই ২০০-র কোঠা পেরোতে পারবে না বিজেপি। তবে সেই সঙ্গেই রাহুলের হিসেব, কোনওভাবে ২২০-২৪০টি আসন জোগার করতে পারলে অবশ্য বিজেপি ফের সরকার গড়ার পথে যাবে। তাই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মনে করেন, বিজেপিকে হারাতে দরকার একটি মসৃণ বিজেপি-বিরোধী জোট।