ঢাকা:পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির মতো অভিন্ন বা গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা এবারো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কাজ করছে। আগামী বছর (২০১৯) থেকে এ ধরনের ভর্তির কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও শিক্ষাসচিব মো: সোহরাব হোসাইন। তারা গত ১৯ জুলাই বলেন, এ ব্যাপারে ইউজিসির একটি কমিটি কাজ করছে। আশা করছি, আগামী বছরে সুফল পাওয়া যাবে। দীর্ঘ দিন থেকেই অভিন্ন ভর্তির দাবি রয়েছে। সম্প্রতি ভাইস চ্যান্সেলরদের সাথে বৈঠকেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি অভিন্ন ভর্তির ব্যাপারে তাদের পরামর্শ দিয়েছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরপরই ইউজিসির নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। এ কমিটিতে মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তারা একটি গ্রহণযোগ্য সুপারিশ করবেন। তারই ভিত্তিতে আগামী শিক্ষা বর্ষ (২০১৯) থেকেই অভিন্ন বা গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা শুরু করা যাবে।
এ দিকে গত ১৯ জুলাই প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে আট লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ আট বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৫৬২ জন। তাদের সবাই সরকারি মেডিক্যাল কলেজে অথবা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), প্রকৌশলবিষয়ক অন্য বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ পাবেন না। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভালো বিষয়গুলোতে ভর্তির জন্য মেধাবীদেরও তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যার চেয়ে প্রার্থী বেশি হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি আসনের জন্য সর্বনি¤œœ শতাধিক প্রার্থীর মধ্য থেকে যোগ্যতা ও মেধার প্রতিযোগিতায় বিজীয় হয়ে নিজের স্থান করে নিতে হবে। আর দরিদ্র-মেধাবী ও কম সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
এ জন্য বিশেষায়িত ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির মতো অভিন্ন বা গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার দাবি এবারো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে মেডিক্যাল কলেজগুলোর মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে, সব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সুপারিশ ছিল। চলতি শিক্ষা বর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি। এ নিয়ে উচ্চশিক্ষার তদারকি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পদক্ষেপ নিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে রাষ্ট্রপতির সুপারিশের পর ইউজিসি আবারো এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে। গত ১৯ জুলাই মন্ত্রী ও সচিব উভয়ে এ ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছেন। আগামীতে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দরিদ্র ও কম সুযোগপ্রাপ্ত মেধাবীদের জন্য পূরণ হতেও পারে।
উচ্চশিক্ষায় এবারের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হচ্ছে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে। ঢাবির কর্তৃপক্ষ ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবে আগামী ৩১ জুলাই থেকে। আগামী ১৪, ১৫, ২১, ২২, ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১২ অক্টোবর বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির গত ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্রভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। ফলে এবারো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সারা দেশে ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তাই এবারো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি ও দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের। ইতোমধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজে স্নাতক শ্রেণীর জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আর ভর্তি পরীক্ষা নয়, এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এমবিবিএসসহ স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসহ আসন সংখ্যা তিন লাখ। ডিগ্রি কলেজগুলোয় পাস কোর্সে রয়েছে দেড় লাখের মতো আসন। ফাজিলেও রয়েছে আরো বেশ কিছু আসন। এর বাইরে কিছু মাদরাসায় সম্মান কোর্স চালু করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কলেজগুলো বাদে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন আছে প্রায় এক লাখ। অবশিষ্ট দেড় লাখ এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হয় ভর্তির সুযোগ পাবেন না, নয় তো ঝরে পড়ে শিক্ষাজীবনের ইতি টানবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিদ্যমান এই প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ বলছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ নিয়ে মন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, সারা দেশে ঘুরে ঘুরে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অর্থ ও সময় অপচয় হয়। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি কোচিং বাণিজ্য উৎসাহিত করে বলে মন্ত্রী মনে করেন। তিনি ভর্তি পরীক্ষা নয়, এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির নীতি-পদ্ধতি চালু করার পক্ষে। তার এ মত ও পদ্ধতিকে বাস্তবায়ন করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান কর্তৃপক্ষ।
মন্ত্রীর মতের ঘোর বিরোধী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, উচ্চশিক্ষায় ভর্তি ইচ্ছুকদের মেধার ও যোগ্যতার যাচাই-বাছাই করেই নিতে হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা ও এর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। ওই দু’টি পাবলিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার সঠিক যাচাই হয় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শিক্ষামন্ত্রীর মতামতের ব্যাপারে বিরোধিতা করে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও অনভিপ্রেত।
এ দিকে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য যেসব প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি অনুসরণ বা অবলম্বন করা হয়, তা নিয়ে ভর্তি ইচ্ছুকদের ভোগান্তির ও দুর্ভোগের শেষ নেই। মানসিক বা শারীরক হয়রানির পর অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়।
গত শিক্ষা বর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সৈয়দা আসমা বেগম নয়া দিগন্তকে বলেন, দেশের সব কয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে, একজন প্রার্থীর অভিভাবককে শুধু আবেদনের জন্যই ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হয়। এ ছাড়া সারা দেশের আনাচেকানাচে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পরিবহন ব্যয় এর চেয়েও বেশি খরচ হবে। ভর্তি ইচ্ছুক যদি মেয়ে হয় তা হলে তো তার জন্য আরো বেশি ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে। তিনি মন্তব্য করেন, দেশের কত শতাংশ মানুষ তার সন্তানের জন্য এত টাকা একসাথে ব্যয়ের সামর্থ্য রাখেন। এ কারণেই দরিদ্র ও কম সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষায় আসতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রত্যাশী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আতাউর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, দেশের সরকার জনগণের স্বার্থে সক্রিয় হয়ে থাকে; কিন্তু এ ক্ষেত্রে (উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও শারীরিক ভোগান্তি দূর করতে) সরকার নির্বিকার। এটাই আশ্চর্যজনক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও নিশ্চুপ। আমার মেয়েকে নিয়ে এবার সারা দেশ ঘুরতে হবে। এর সাথে অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত আছে। ভর্তি আবেদন ফি ছাড়া যাতায়াত, থাকা ও খাবার খরচ তো আছেই। মেডিক্যালের মতো একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হলে অর্থ ও সময় দুই-ই সাশ্রয় হতো। শুধু অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বা মানসিক-শারীরিক হয়রানি ও ভোগান্তিই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষায় ভর্তির জন্য বিভিন্ন ধারায় যেসব নিয়ম-কানুন এবং পদ্ধতি কর্তৃপক্ষ চালু রেখেছে, তা মোকাবেলা করে একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ পেতে নানা বাধা-প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেÑ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একাধিকবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার সমস্যা। এ বাধা রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে। এ প্রতিবন্ধকতা চালু করতে যাচ্ছে আরো বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজেও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো বেশ ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ ছাড়া গত বছর থেকে মেডিক্যালে ভর্তির ক্ষেত্রেও যোগ হয়েছে নতুন শর্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী মোট দুইবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে মোট জিপিএ ১০-এর মধ্যে জিপিএ ৯ পেতে হবে। আর কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হোক বা না হোক, দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশ নিলে তার প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কাটা হবে। আগে কোনো নম্বর কাটা হতো না।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নেই। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো পূর্ণাঙ্গ যাত্রা করেনি। এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতক (পাস) কোর্স চালু রয়েছে। এর বাইরে ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সারা দেশ ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। তবে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তুমুল প্রতিযোগিতা হবে। তিনি বলেন, এখন দিন দিন ফল ভালো করছে শিক্ষার্থীর্।া শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি কার্যক্রম বিগত কয়েক বছরের মতোই অন-লাইনে হবে। ভর্তি ফরম সংগ্রহ ও জমা দান করা যাবে অন-লাইনে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম বিতরণ ও জমা নেয়া এবং ভর্তি গ্রহণ করা হবে।