এম আরমান খান জয়,রাজশাহীর বাগমারা থেকে ফিরে : একসময় সন্ত্রাসী জনপথ হিসেবে চিহ্নিত বাগমারা জুড়ে বিষ্ময়কর উন্নয়ন দৃশ্যমান। পরিকল্পিত ও কাঙ্খিত উন্নয়নের দৃশ্যমান চিত্র খোলা চোখেই ধরা পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের উপলব্ধি, এলাকার উন্নয়ন দেখলেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা মনে পড়ে যায়। বাগমারা প্রতি যার রয়েছে বিশেষ দৃষ্টি। বিরল ভালোবাসা।
আর সেই বাগমারাতেই সংসদ সদস্য জনগণের নিবেদিত প্রাণ ও উন্নয়নের রুপকার” ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক তার নির্বাচনী এলাকায় মাটি ও মানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন। সার্বক্ষনিক মিশে আছেন গণ মানুষের সাথে। কাজ করে যাচ্ছেন জনকল্যান ও উন্নয়নে।
বর্তমান সরকার আমলে এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এলাকার সার্বিক উন্নয়নের ধারা সূচনা করেছেন।
ফলে দৃশ্যমান বাস্তবতায় চোখে পড়ে বদলে গেছে বাগমারা। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক নির্বাচিত হবার পরে শতাধিক প্রকল্পে প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে বাগমারায়। পর্যবেক্ষক মহলÑএই উন্ন্য়ন ধারাকে বৈল্পবিক ও যুগান্তকারী বলে মন্তব্য করেছেন ।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের যে নজির রেখেছেন, উন্নয়ন বিশ্লেষকদের মতেÑতাতে বাগমারা উন্নয়নের মহাসড়কে ১০০ বছর এগিয়ে গেছে। শুধু তাই এমপি এনামুল নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির জনকের আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাগমারায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে তুলেছেন হয়েছে ছয়তলা বিশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপেস্ক সেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে আড়াইশর অধিক বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধের ছবি এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক বইয়ের পাঠাগার। তাছাড়া
মানুষ যখন জীবিকার তাগিদে ঢাকামুখী ঠিক তখনই বাগমারা উন্নয়নের রুপকার মাননীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের নিজস্ব উদ্যোগে রাজশাহীর বিসিক এলাকায় এনা গ্রুপের নির্মাণাধীন “সাঁকোয়া টেক্রু” নামের একটি সুয়েটার কারখানা তৈরী করেন যেখানে পয় ২০০০ মানুষের কর্মস্থান।
আওয়ামী লীগ আমলে যে উন্নয়ন হয় তারই উদাহরনের একটি রোল মডেল বাগমারা ।
আর, গত দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অবর্তীণ হয়ে লক্ষাধিক ভোটের বিশাল ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক
। তরুণ প্রজন্মের এই নেতা বাগমারাবাসীর ভোট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। এর মধ্য দিয়েই বাগমারা সূচিত হয় রাজনীতির নতুন দিগন্ত। নতুন অধ্যায়। নতুন যুগ।
তরুণ এমপি হয়ে এনামুল স্থানীয় ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের শুরু করেন উন্নয়ন ও জনকল্যাণ সেখানে নিয়ামক। এনামুল জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশে এগিয়ে যাওয়া বাগমারার রূপকার। বাগমারার এই অগ্রযাত্রা তাৎপূর্ণভাবে বৃহত্তর জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। যে জন্য এনামুল এর কাজ কর্মে জনমানুষের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হয়েছে।
বর্তমান সরকার আমলের উন্নয়ন প্রবাহ ও উদ্যোগ সমূহ তাই বাগমারা বাসীর কাছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাকে আরো সুসংহত করেছে। আরও নিরংকুশ জনপ্রিয়তায় বাগমারা এখন আওয়ামী লীগময়। সেখানে সর্বত্র জননেত্রীর জয় জয়াকার।
এনামুল রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার শুভযাত্রা এখানেই সফল যে, তিনি আওয়ামী লীগ ও জনগনকে বর্তমান সরকারের সাফল্যের গুইগ্রাহী করতে পেরেছেন। এবং এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
এর প্রভাব হচ্ছে-নির্বাচনী রাজনীতিতে বাগমারার এনামুল এমপির নেতৃত্বে একট্টা।
যা অন্য অনেক এলাকা ও অন্য অনেক নেতার জন্য একটি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ।
শুধু তাই নয় বাগমারা এনামুল হক এর নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা নিবিড়। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক বলয়ে এবং ভোট ব্যাংকে এনামুলের এর ডায়নামিক লিডার শীপকে নিয়ে গেছে বিকল্পহীন উচ্চতায়। সংগঠনে সেন্টপার্সেন্ট জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতায় যেমন তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই; তেমনি জনগণের কাছেও তার গ্রহনযোগ্যতার প্রশ্নে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
দলে তার মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় যারা আছেন তারা রাজনৈতিক মাঠে কার্যত: নিসঙ্গ। হতাশাকে বুক পকেটে নিয়ে তাদের সমর্থকরা জেনে গেছেন এনামুল শুধু কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তিনি আনপ্যারালাল।
স্থানীয় এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন-এলামুলের এর প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুলই। তার আর কোন অলটারনেটিভ নেই।
কেন এই বিকল্পহীন উচ্চতায় এনামুল, এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা হয় আমাদের প্রতিনিধি এম আরমান খান জয়ের। তারা জানান-আওয়ামী লীগ প্রবণ নির্বাচনী এলাকাটিকে এনামুল আওয়ামী লীগ অধূষিত এলাকায় পর্যবসিত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ধারা প্রচারে এমপি এনামুল একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। সর্বস্তরের জনগণের সাথে তিনি উন্নয়ন স্বপ্ন ফেরি করে ফিরছেন। স্বপ্নের বাগমারা রূপায়নে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ আদলকে স্থানীয় গন্ডিতে কাজে লাগাচ্ছেন। স্থানীয় উন্নয়নে অগ্রাধিকারকে তিনি তার রূপকল্প হিসেবে নিয়েছেন। এবং জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলছেন।
আধুনিক বাগমারার রূপকার হিসেবে বাবেল গোলন্দাজ এর নাম এখন এলাকার জনশুতি।
দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দিন থেকেই তিনি একাদশ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ধরে রাখার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন। তার একদিন প্রতিদিন হচ্ছে-নৌকার দিন, জননেত্রীর দিন, আওয়ামী লীগের দিন, বাগমারার দিন। ফলে এখানে নৌকার ভোট বেড়েছে। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি খর্ব হয় নি। সমর্থন বেড়েছে। সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ও অধিকতর শক্তিশালী হয়েছে। মন্তব্য দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকদের।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়, গ্রহনযোগ্য প্রার্থীর সন্ধানে জরিপ চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনমতের উপরও সমীক্ষা চলছে।
ভোট বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বাগমারার ভোট চিত্রে যে সমীকরণ চলছে সেটা হচ্ছে সুষ্টষ্টভাবে আওয়ামী লীগ ও এনামুল হকের সমর্থনে মেরু করণ।
জনধারনা এটি নিশ্চিত যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এনামুল এমপিই একমাত্র তৃণমূল সমথির্ত প্রার্থী। জনপ্রত্যাশিত প্রার্থীও তিনি। পপুলার ভোটের পূর্বাভাষই তাকে টপ ফেবারিট প্রার্থীর ইমেজে রাখছে। বাগমারা আসনের রাজনীতির প্রবণতা হচ্ছে সরকারের মেয়াদের শেষ দিন এখানে বিরোধীরা ক্র্যাকডাউন করতে তৎপর হয়। নির্বাচনে পরাজয়ের পর এই প্রতিপক্ষরা আতংকে এলাকা থেকে নির্বাসিত হয়। সে অবস্থায় নির্বাচনের প্রাককালে এখানের সরকার বিরোধীরা মাঠে যখন নামবে তখন এক দশক আগের অবস্থায় তারা ফিরতে পারবে কিনা সেই সংশয় রয়েছে।
কেননা এখানে বিএনপির নেতাদের ক্রান্তিকাল চলছে। রয়েছে অস্তিত্ব সংকট। নতুন নেতৃত্বের উত্থান বা আগমনীটা বিএনপির জন্য খুব যুৎসই নাও হতে পারে। কেননা- বাগমারার রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় বাগমারা এখন আওয়ামী লীগই আজ ও আগামীর জনপ্রিয় দল। এবং যার আর কোন বিকল্প নেই।