ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু বিমান বাহিনী নয়, সেনা ও নৌবাহিনীর উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের জন্য আমরা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমাদের সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে একটি দক্ষ, সুসজ্জিত এবং আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এজন্য যা যা করা দরকার, সবই করা হবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা বঙ্গবন্ধু বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কে-৮ ডব্লিউ বিমানের অন্তর্ভুক্তিকরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনী বহরে আজ যুক্ত হতে যাচ্ছে ডিজিটাল ককপিট সম্বলিত আধুনিক কে-এইট ডব্লিউ জেট ট্রেইনার বিমান। জেট ট্রেনিং-এ বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে এবং L-39 জেট ট্রেইনার বিমানের প্রতিস্থাপক হিসেবে কাজ করবে এই বিমান।
বাংলাদেশে এই প্রথম কোন জেট ট্রেইনার বিমান ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চীন থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মাত্র ১০ ঘণ্টার স্বল্প-মেয়াদী প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের বৈমানিকরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আমি তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে আমি মায়ানমার সরকারকে জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, কে-এইট ডব্লিউ(K-8W)একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ককপিট বিশিষ্ট Jet Trainer বিমান। বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তি তাদের যুদ্ধ বৈমানিক প্রশিক্ষণে এটি ব্যবহার করেন। এই বিমানের অন্তর্ভুক্তি যুদ্ধ বৈমানিক প্রশিক্ষণে আমাদের সক্ষমতাকে বিশ্বমানে নিয়ে যাবে এবং একইসাথে প্রশিক্ষণকে করবে আরও নিরাপদ এবং দ্রুততর।