ফের জিম্বাবুয়েকে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবালো পাকিস্তান। বুলাওয়েতে ফাহিম আশরাফের বোলিং তোপে উড়ে গেছে হ্যামিলটন মাসাকাদজার দল।
আর পাকিস্তান ৩-০তে জিতে নিয়েছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের মাঝ পথেই মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
এই ম্যাচে দলের সেরা দুই পেসার মোহাম্মাদ আমির ও হাসান আলীকে বিশ্রামে রেখেছিলো পাকিস্তান। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি জিম্বাবুয়ের। ৬৭ রানে অলআউটের মাধ্যমে জিম্বাবুয়ে পেল নিজেদের ষষ্ঠ সর্বনিম্ন রানের লজ্জা। অর্থাৎ এরচেয়ে কম রানে ওয়ানডে ইনিংস শেষ করার পাঁচটি ঘটনা রয়েছে তাদের। ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জাটিও জিম্ববুয়ের দখলে। ২০০৪ সালে দেশের মাটিতেই তারা ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিলো শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।
বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে দলীয় প্রথম রানেই হারায় ওপেনার প্রিন্স মাসভারকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও চিবাবার ১৭ রানের জুটিই ছিলো দলের সবচেয়ে বড় জুটি। এই জুটি ভেঙেই ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করেন অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। জিম্বাবুয়ের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌছতে পেরেছেন। চিবাবা সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন। ২৬ তম ওভারের প্রথম বলেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
ফাহিম ৮ ওভার এক বলে মাত্র ২২ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিয়েছেন। ১১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া জুনাইদ খান ৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছন।
ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার ইমাম উল হককে হারায় পাকিস্তান। কিন্তু এরপর আর কোন সুযোগ জিম্বাবুয়ের বোলারদের দেননি আরেক ওপেনার ফখর জামান। বাবর আজমকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফখর। ৬৯ রানের ইনিংসে একাই করেছেন ২৪ বলে ৪৩ রান। দশম ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।