ঢাকা:বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্র না থাকত, তাহলে বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যে অগণতান্ত্রিক-অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে গালিগালাজ করতে পারত না। বিএনপির এসব মিথ্যাচারের পরও বিএনপির নয়াপল্টন অফিসে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ হয়নি, পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আজকের এই দিনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর গ্রেপ্তার দিবস উপলক্ষে যুবলীগ আজ সোমবার রাজধানীর গুলিস্তানের নাট্যমঞ্চে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। যুবলীগের আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলার পরও বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। টেলিভিশনে বিভিন্ন ‘টক-শো’ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ভাষায় কথা বলা হয়, তারপরও টক-শো থেকে ফেরার সময় কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। তবুও বিএনপি বলে দেশে গণতন্ত্র নেই। তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করে নিজেদের আত্মস্বীকৃত ‘উন্মাদ’, ‘দেউলিয়া’ ও ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে বিএনপি নিজেরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে দিয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে রাজনীতি করে এখন শেষ বয়সে চলে এসেছেন। অনেকের আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। কেউ কেউ মনোনয়ন চান। এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কী চান, যিনি জেতার মতো না তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হোক? যাঁর জেতার মতো পজিশন আছে, তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। জেতার মতো যোগ্যতা অর্জন করলে কেউ বঞ্চিত হবেন না।’
দলের সাধারণ সম্পাদককে নেতা-কর্মীদের প্রশংসার জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে না জিততে পারলে আপনাদের প্রশংসা গালিতে পরিণত হবে। তখন বলা হবে ব্যর্থ সাধারণ সম্পাদক। তখন নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, গাজীপুর আর আসন্ন তিন সিটিতে জিতলেও দাম নেই। জাতীয় নির্বাচনে জিতলেই কেবল সফল সাধারণ সম্পাদক হওয়া যাবে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।