গোল্ডেন বল, বুট, গ্লাভস যাঁরা জিতলেন

Slider খেলা

6bbd5f92f773afd344dfb9e9ae0c406a-5b4b8c09c8395
খেলা ডেস্ক: সোনার জুতা। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি গোলদাতাকে দেওয়া হয়। সোনার জুতা যেন একপ্রকার স্বীকৃতি, বিশ্বের সেরা ফরোয়ার্ড এখন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। কিন্তু এই রেকর্ডে যেন অনেকেই খুশি নন! এই সোনার জুতা জয় নাকি সবচেয়ে অকর্মা সোনার জুতা জয়

তা যা-ই হোক, গ্যারি লিনেকারের পর আরেক ইংলিশ খেলোয়াড়ের হাতে এই সম্মান উঠল। অবশ্য কেইন এখনো আক্ষরিক অর্থে হাতে নিতে পারেননি। সেমিফাইনালে বিদায়ের পর দেশে ফিরে গেছেন। তবে কেইনের করা ৬ গোল কেউ টপকাতে পারেনি আজ। যে দুজন পারতেন, সেই এমবাপ্পে-গ্রিজমান দুজনই গোল করেছেন। তবে একটি করে। অন্তত হ্যাটট্রিক করতে হতো। তা না হওয়ায় নিশ্চিত হয়ে গেছে, কেইনই জিতছেন গোল্ডেন বুট।

Pran Frootoগোল্ডেন বল জিতেছেন লুকা মদরিচ। যেভাবে পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছেন, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তাঁর প্রাপ্য। তবে ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েও এই পুরস্কার জেতা অনেকটা সান্ত্বনা পুরস্কারের মতো মনে হয়। গতবার যে অনুভূতি হয়েছিল লিওনেল মেসির। এবার হলো আরেক এলএম টেন-এর। লুকা মদরিচ যে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বীকৃতিগুলোই দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এক বিশ্বকাপ জেতার জন্য।

কিংবদন্তি পেলেকে মনে করিয়ে দেওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পেও এবার গোল্ডেন বলের দাবিদার ছিলেন। তবে তাঁকে দেওয়া হয়েছে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। আর সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন বেলজিয়ামের থিবো কোর্তোয়া।

কোনো পুরস্কার নিয়েই বিতর্কের সুযোগ নেই। তবে গোলগুলোর ধরন, আর নকআউট পর্বের বেশির ভাগ সময় নিষ্প্রভ থাকার কারণে হ্যারি কেইনকে খোঁচা খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে সেমিফাইনালে কিছুই করতে পারেননি বলে খোদ ইংলিশ সমর্থকদের মধ্যেও জ্বালা আছে। কেইনের ছয় গোলের পাঁচটি গোলই প্রথম পর্বের মাত্র দুই ম্যাচেই। তিউনিসিয়া ও পানামার বিপক্ষে পাঁচ গোল আর কলম্বিয়ার বিপক্ষে এক গোল। এ-ই হলো ছয় গোল।

। ছয় গোলের মাঝে তিনটি পেনাল্টিতে। একটি গোল এসেছে ট্যাপ-ইন। গোলকিপারের থামানো বল, তার কাছে আসে এবং গোল। আর শেষ গোলটি হয়েছে হাস্যকর। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়ের করা শট কেইনের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। অর্থাৎ ডিফ্লেকশন গোল। অন্য আরেকটি গোল এসেছে হেডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *