কুমিল্লায় জহিরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। রবিবার দুপুরে কুমেক হাসপাতালে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম (৩৫) একই গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় কর্মরত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ, মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার আমপাল গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলামের সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির রফিক মিয়ার মেয়ের (১৭) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। উভয়ের মাঝে গত দুই বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি একাধিকবার পাশাপাশি অনৈতিক দৈহিক সম্পর্কেও গড়িয়ে যায়। ভিকটিম জানান, ‘বিয়ের জন্য চাপ দিলে পুলিশ সদস্য জহির ছলচাতুরি শুরু করে এবং তাকে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। ’
এদিকে গত ১৩ জুলাই শুক্রবার জহির বাড়িতে এসে রাত অনুমানিক ২টার দিকে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী নার্গিস বেগমের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জহিরকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে।
পরে ঘটনাস্থলে তার পরনের লুঙ্গি ফেলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গত দুইদিন ধরে এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে পুলিশ এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে অভিযুক্ত জহিরের লুঙ্গি উদ্ধার ও ভিকটিমের পরনের সালোয়ার কামিজ জব্দ করে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই সোহেল জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকালে মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম জানান, দুপুরে কুমেক হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও জানান, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নবীনগর থানায় কর্মরত পুলিশ কং/১০০৫ জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মহোদয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।