বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন, দলের জার্সি গায়েই বৈঠকে ক্রোয়েশিয়ার মন্ত্রীরা

Slider সারাবিশ্ব

210718_bangladesh_pratidin_croat

ফুটবল নিয়ে ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্টের উচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়েছিল বিশ্ববাসী। রাশিয়ার জালে যখন ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন, পাকা হয়েছিল সেমিফাইনালের টিকিট, তখন আনন্দে নেচে উঠেছিলেন প্রেসিডেন্ট।

গোটা বিশ্ব দেখেছিল সে আনন্দ-মুহূর্ত।
তখনই বোঝা গিয়েছিল, এমন ফুটবলপাগল প্রেসিডেন্ট থাকলে যে কোনও দেশই খেলাধুলোয় উন্নতি করতে পারে। মোটে ৪২-৪৩ লক্ষ বাসিন্দার দেশ ক্রোয়েশিয়া তা করেও দেখিয়েছে। বিশ্বজয়ের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে তারা। আর এ মুহূর্তে গোটা দেশই ফুটছে উত্তেজনায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সকল সদস্যরাই তাই বৈঠক করলেন দলের জার্সি পরেই।

নেটদুনিয়া ছেয়ে গিয়েছে ক্রোটদের আবেগের সে ছবিতে। জনসংখ্যা কম। কিন্তু আবেগ-উদ্দীপনার নিরিখে যে কোনও বড় দেশকে টেক্কা দিতে পারে ক্রোয়েশিয়া।

সে নমুনা দেখিয়েছিলেন খোদ প্রেসিডেন্টই। শুধুমাত্র দলের জার্সি পরে বসার নিয়ম নেই বলে ভিভিআইপি বক্স ছেড়ে দিয়েছিলেন। খেলা দেখেছিলেন সমর্থকদের মধ্যে বসে। দেশের ভেতরে যে কতখানি উত্তেজনা তা এর থেকেই বোঝা যায়।
ক্রোয়েশিয়া সে আবেগের দাম দিয়েছেন মদ্রিচরা। টানা তিন ম্যাচ ১২০ মিনিট খেলেও হার মানেননি। দলকে ফাইনালে তুলেছেন। দেখা যাচ্ছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা সবথেকে ছোট দেশ এখন ক্রোয়েশিয়াই। দেশের ফুটবল ইতিহাস এই মুহূর্তে ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ফাইনালে উঠেই ইতিহাস তৈরি করেছেন রাকিতিচরা। বাকি এখন একটা ধাপ।

তবে এই গৌরবকেও খাটো করে দেখছেন না ক্রোটরা। মস্কোয় যা হয়েছে তা আমাদের ছোট দেশের জন্য এক বিরল সম্মানের মুহূর্ত-ক্রোট প্রধানমন্ত্রী তাই মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরুই করেছেন এ কথা বলে। আর দেশের ফুটবল আবেগের সবথেকে বড় বিজ্ঞাপন হিসেবে খোদ প্রধানমন্ত্রী পরেছিলেন দলের জার্সি। সমস্ত ক্রোট মন্ত্রীদের পরনেও ছিল একই পোশাক। নিঃসন্দেহে ফাইনালের আগে এই দৃশ্য বাড়তি প্রেরণা দেবে ক্রোট খেলোয়াড়রদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *