বরিশালের গৌরনদীতে আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেওয়ার সময় রিপন সরদার (২৬) নামে এক ভুয়া নির্বাচন কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার উত্তর ধানডোবা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আটক রিপন উপজেলার নন্দনপট্টি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় উপজেলার উত্তর ধানডোবা গ্রামের মঞ্জু সরদার বাদী হয়ে রিপন সরদারকে আসামি করে ওইদিন সন্ধ্যায় গৌরনদী থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেছেন।
গৌরনদী থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে রিপন সরদার নিজেকে বরিশাল নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের নন্দনপট্টি, উত্তর ও দক্ষিণ ধানডোবা, মৈস্তারকান্দি গ্রামের তিন শতাধিক সহজ সরল মানুষকে স্মার্ট কার্ড দেয়ার কথা বলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতারক রিপন সরদার উত্তর ধানডোবা গ্রামের হরশীদ তালুকদারের বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ নেয়।
এ সময় মঞ্জু সরদার ওই বাড়ি গিয়ে রিপনকে চ্যালেঞ্জ করলে সে (রিপন) কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। পরবর্তীতে রিপন সরদারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় স্থানীয় উত্তর ধানডোবা গ্রামের মঞ্জু সরদার বাদী হয়ে রিপন সরদারকে আসামি করে ওইদিন রাতে গৌরনদী থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
থানা হাজতে রিপন সরদার জানায়, সে একটি মোবাইল কোম্পানীর কর্মচারী। ওই মোবাইল কোম্পানী জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ নিতে বলায় তিনি প্রায় ৩০০ লোকের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেন।