স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়নের কাজ চলছে। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের দ্রুত বিচার করার জন্য পৃথক আদালত গঠন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে আজ সমাপনী বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৯০ সনের। ১৯৯০ সালের আইন দিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে মাদক ব্যবসায় অর্থ লগ্নীকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ আইনের আওতায় মৃত্যুদন্ড প্রদানের প্রস্তাব করা রাখা হয়েছে। নতুন আইনে মাদকাসক্ত সনাক্তের জন্য ডোপ টেষ্টের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন করে কোন মাদকদ্রব্যকে আইনের আওতায় মাদক হিসেবে ঘোষণার জন্য মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিসা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় একে মাদকদ্রব্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সাল হতে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি প্রদানের নিমিত্ত মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হয়েছে।