সারা দেশের সঙ্গে আগামী শনিবার (১৪ জুলাই) একযোগে গাজীপুরে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৫০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে শিশুকে খালিপেটে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক।
বেলা ১১টায় সভা শুরুর কথা থাকলেও তিনি ৫১ মিনিট পর এসে ৩২ জন অপেক্ষমান সাংবাদিককে বলেন ‘সরি’ আসতে দেরি হল। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা সভা চলে নোংরা মেজে ও দেওয়ালে মাকড়সার জাল ঝুলে থাকা ওই সভা কক্ষে।
সভায় জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড উপলক্ষে ১৪ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলার ৫ উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের ১৩৫টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪২৯ কেন্দ্রে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬২ হাজার ৫৫ শিশুকে ১টি করে ১ লাখ আইইউ ক্ষমতাসম্পন্ন নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৫ শিশুকে ১টি করে ২ লাখ আইইউ ক্ষমতাসম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কাজে ৮৮১ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ হাজার ৮৫৮ জন স্বেচ্ছাসেবী সহযোগিতা করবেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে। বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এবং শিশু মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
সিভিল সার্জন বলেন, এ জন্য প্রতিটি শিশুকে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নিকটস্থ ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে নিয়ে আসতে অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে হবে। এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (১ম রাউন্ড) সম্পর্কে প্রজেক্টরে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসমা ফেরদৌসী।