ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :-
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর উপযুক্ত সদস্যদের কেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারী করেছেন হাইকোট। সেই সঙ্গে ওই পদে তাদেরকে নিয়োগ দিতে সরকারের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারী করেছেন আদালত।
আগামী ০৪ সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, সংস্থাপন সচিব, শিক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, যুব ও ক্রীড়া সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে আদেশ দিয়েছে হাইকোট। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর সাবেক ৬৪ জন সদস্যের দায়ের করা রিট আবেদনে এই রুল জারি করা হয়েছে।
ওই রিট আবেদনের শুনানী শেষে সম্প্রতি বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোট বেঞ্জ এই রুল জারি করেন। আদালতের রিট আবেদনের পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রীম কোট আইনজীবি এ্যাডভোকেট মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল ও রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন ডেপুটি এর্টনি জেনারেল রশির আহমেদ।
এ রিটের পক্ষে যারা আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন ন্যাশনাল সার্ভিসের সুবিধাভোগী মো: ফেরদৌস কিবরিয়া (নয়ন), মোছা: উম্মে মরিয়ম, মেরিনা বেগম, গোলাম রব্বানী, রাশেল ইসলাম, বিকাশ রায়, মারুফা বেগম, হামিদা বেগমসহ ৬৪ (চৌষট্টি) জন।
জানা যায় ২০১৩ সালের ১২ মে সারা দেশের ৭টি জেলার ৮টি উপজেলার মত নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতী প্রশিক্ষন শেষে চাকুরীতে যোগদান করেন। দুই বছর পর তাদের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়। চাকুরীতে থাকার সময় ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় একটি নীতিমালা জারী করে।
এতে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পুলভুক্ত শিক্ষক ও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন। ওই সময় তাদের সমপর্যায়ের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্যে পুলভুক্ত শিক্ষকরা হাইকোট রিট দায়ের করলে তাদের শিক্ষক পদে নিয়োগের বিষয়টি সরকার বাস্তবায়ন করে। কিন্তু ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর সদস্যরা আজো উপেক্ষিত রয়েছেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবি মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নীতিমালায় পুলভুক্ত শিক্ষকদের মতো ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর সদস্যদের সমপর্যায়ের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হলেও ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর চাকরীজীবিদের নিয়োগ দেয়া হয়নি। এটা বৈষম্যমুলক এবং বেআইনী। তাই আদালত রিটের প্রাথমিক শুনানী নিয়ে রুল জারি করেছেন।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচীর সুবিধাভোগীদের যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে ডিমলা উপজেলার মো: ফেরদৌস কিবরিয়া (নয়ন), মোবাইল নং – ০১৭১৭২৮৮২১৮।