রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। দীর্ঘ ২৮ বছর পর সেমিফাইনালে হ্যারি কেইনরা।
সবশেষ ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল দলটি। ওই ম্যাচে হারলেও বীরের বেশে দেশে ফেরে ইংল্যান্ড দল। খোলা বাসে চড়ে হাজার হাজার সমর্থকদের অভিবাদনে সিক্ত হন ইংলিশ খেলোয়াড়রা।
সেবার পশ্চিম জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হার দেখে ইংলিশরা। ২৮ বছর পর আবারো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। আর এবার ইংল্যান্ড হেরে গেলে লন্ডনের রাস্তায় সেই প্যারেড দেখা যাবে না!
ইংলিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’র দাবি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মনে করে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার উদযাপন তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে খারাপ বার্তা দেবে। এটি তরুণদের মানসিকতা নষ্ট করতে পারে এবং হার মেনে নিতে উৎসাহিত করবে।
এদিকে প্যারেড নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে পুলিশ, ডাউনিং স্ট্রিট এমনকি বৃহত্তর লন্ডন কর্তৃপক্ষ।
কিছু সমর্থকদের বিশৃঙ্ক্ষল উদযাপন এর কারণ। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে জয়ের পর ইংল্যান্ডজুড়ে ব্যাপক উল্লাস করে ভক্ত-সমর্থকরা। কিছু ক্ষেত্রে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আতশবাজি পোড়ানো তো আছেই। কেউ কেউ ট্রাফিক লাইট বেয়ে ওপরে উঠে পড়ে। লন্ডন ব্রিজে কিছু উচ্ছৃঙ্খল সমর্থক অ্যাম্বুলেন্সের ওপর লাফিয়ে ওঠে। বাঁধভাঙা উদযাপন করতে গিয়ে জীবন রক্ষাকারী অ্যাম্বুলেন্সের কাঁচ ভেঙে ফেলে সমর্থকরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছবি দেখে পুলিশ এক প্রতিক্রিয়ায় বলে, ‘এবার আমাদের পালা। ’ এর মধ্যেই এক নারীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নিন্দা জানিয়ে টুইট করে, ‘ইংল্যান্ড দলের পারফরম্যান্সে আমরা উল্লসিত। কিন্তু এ রকম উদযাপন আমাদের নিরাশ করছে।