সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় অনুকূলে জরিমানার টাকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে জেসমিন ইসলামকে নোটিশ দেয়। তিনি ২৪ নভেম্বর তিন মাসের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। পরে সাতদিন সময় বাড়ানো হলেও নির্ধারিত ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেয়ায় ১১ ডিসেম্বর দুদক রমনা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
ওই মামলায় ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জেসমিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আগাম জামিন দেন। এতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দুদক ২৭ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ২৯ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। পরে জামিন মঞ্জুর করে দেয়া আদেশ বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ঋণ নেয়া ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেসমিন ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। দুদক সূত্রে জানা গেছে, হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জনতা ব্যাংক ভবন কর্পোরেট শাখা থেকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ৮৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।