মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে আবারো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মিনিবাস দোলনচাঁপা ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের কাগমারী ব্রিজের পাশে ময়দার মিলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লুৎফুন্নেছা বারি, সহকারী অধ্যাপক নারগিছ আক্তার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নান্নু, ড্রাইভার সজিবুল ইসলাম গাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
এ ব্যাপারে গাড়ির ড্রাইভার সজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ শহরের বেবীস্ট্যান্ড পাড় হয়ে ৩ টি অটো গাড়ি দেখে গাড়ি ধীরে চালাতে থাকি। এ সময় একটি ছেলে লাঠি হাতে এসে আমাকে গাড়ি থামাতে বলে। আমি বলি কেন। এরপরই ৬/৭ জন মিলে এলোপাথাড়িভাবে গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। পরে গাড়ির দরজা খুলে আমরা সবাই বের হয়ে আসি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা পুলিশ প্রসাশনকে বিষয়টি অবগত করেছি। গাড়ি থানায় আছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই বুধবার বিকেলে শহরের সরকারী এম. এম আলী কলেজের সামনে কলেজের পশ্চিম পাশ মোড়ে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা গাড়ির ভিতরে অবস্থানরত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ড্রাইভার সুমন মিয়াকে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে বলে এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফোন ব্যবহার করে ভাংচুরকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিনকে হুমকি প্রদান করে। ফোনে তারা ভিসিকে বলেনÑ ‘টাঙ্গাইলে থাকস আর টাঙ্গাইলের বাপকে চিনস না, টাঙ্গাইলের বাপকে মানস না, টাঙ্গাইলের বাপের কথা শুনস না, টাঙ্গাইলের বাপেরে কথা মতো (তদবির করলে) চাকরি দেস না, বাইরে থেকে এনে চাকরি দেস। উপাচার্য তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের ‘টাঙ্গাইলের বাবা’ বলে পরিচয় দেয়। তাদের সুপারিশ মত চাকরি না হলে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আরো ঘটবে বলে তারা জানিয়েছে। পরে তারা মাইক্রোবাসটি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের নামে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।