কোয়ার্টারফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়াকে হারিয়ে ২১তম ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। কোয়ার্টারফাইনাল ম্যাচের সেরা হয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার লুকা মড্রিচ। শুধুমাত্র রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই জ্বলে উঠেননি তিনি। পুরো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সেরা পারফর্মারদের তালিকায় সেরা তিনে নাম আছেন মড্রিচ।
তাই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ে অনেকখানি এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের এই খেলোয়াড়। তবে গোল্ডেন বল নয় ক্রোয়েশিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চান মড্রিচ। তিনি বলেন, আমার পারফরমেন্স নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরাও আমার পারফরমেন্স নিয়ে আলোচনা করছেন। অনেকেই গোল্ডেন বলের ব্যাপারে বলছেন। কিন্তু আমি এই নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। আমার আসল লক্ষ্য ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়া।
বিশ্বকাপের চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারফাইনালে ক্রোয়েশিয়া টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারায় স্বাগতিক রাশিয়াকে। এই জয়ে ১৯৯৮ সালের পর আবারো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ক্রোয়েশিয়া। দলকে সেমিফাইনালে তুলতে মূখ্য ভূমিকা রাখেন মড্রিচ। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। একটি গোল ছাড়াও পুরো ম্যাচে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ৩২ বছর বয়সী মড্রিচ।
ম্যাচ শেষে গোল্ডেন বলের ব্যাপারে মড্রিচকে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, আমি গোল্ডেন বল নিয়ে ভাবছি না। আমার নিজের পারফরমেন্স নিয়েই আমার ভাবনা বেশি। পাশাপাশি দলের সাফল্যের দিকে নজর আমার। এখন আমার মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ ট্রফি। এবার দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চাই আমি।
দলের সতীর্থদের পারফরমেন্স মন জয় করেছে মড্রিচের। তিনি বলেন, আমাদের আসল লক্ষ্য কি দলের সকলেই তা বুঝতে পারছে। আমরা এখানে এসেছি শিরোপা জিততে। সেই পথে ভালোভাবে টিকে থাকতে পেরে দারুণ লাগছে। আশা করি এমন পারফরমেন্স অব্যাহত থাকবে।
আগামী ১১ জুলাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে ক্রোয়েশিয়া। ঐ ম্যাচটি এবারের আসরে ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের হবে বলে মনে করেন মড্রিচ। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সত্যি বলতে, ঐ ম্যাচে ফল আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এবারের আসরে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমফিাইনালের ম্যাচটি। ঐ ম্যাচটি জিতে ফাইনালে উঠতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। এজন্য আমাদের সেরা পারফরমেন্স করতে হবে।