অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রেকর্ড জয়ে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের দখল নিল পাকিস্তান। আয়োজকদের হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটা দারুণ হলেও লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
যদিও লিগের ফিরতি ম্যাচে অজিদের বিরুদ্ধে বদলার জয় তুলে নেয় সরফরাজরা।
ফাইনালের স্টেজ রিহার্সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আত্মবিশ্বাসটাই খেতাবি লড়াইয়ে বাড়তি উদ্দীপ্ত করে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়লেও কঠিন লড়াইয়ে জিতে অনবদ্য নজির গড়ে পাকিস্তান।
ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনারের জমাট শুরুতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তোলে অজিরা। ডার্সি শর্ট ৫৩ বলে ৭৬ রান করেন। তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। অপর ওপেনার তথা অজি দলনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ২৭ বলে ৪৭ রান করে আউট হন। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
ওপেনিং জুটিতে ৯৫ রান তোলা অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারে ধস না নামলে দু’শো রানের গণ্ডি পার করে যেতে পারত তারা। স্টোইনিস ১২ ও ট্রেভিস হেডের ১৯ ছাড়া আর বলার মতো রান করতে পারেননি কেউই।
পাকিস্তানের হয়ে আমির ৩৩ রানের ৩ উইকেট নেন। শাদব খান নেন ৩৮ রানে দুটি উইকেট। এছাড়া ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি ও শাহিন শাহ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে জয়ের পথ প্রস্তুত করে দেন ওপেনার ফকর জামান। ক্যারিয়ারের সেরা ৯১ রান করেন তিনি। ৪৬ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন ফকর।
প্রথম ওভারেই সায়েবজাদা ফারহান ও হুসেন তালাতের উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। সরফরাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিপর্যয় রোধ করেন ফকর। সরফরাজ ১৯ বলে ২৮ রান করে রানআউট হন। আসিফ আলিকে (১৭) সঙ্গে নিয়ে শোয়েব মালিক ৪ বল বাকি থাকতে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ১৯.২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৭ রান তুলে পাকিস্তান ম্যাচ জিতে যায় এবং ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচ এবং সিরিজ সেরা হন ফকর।
২৮ বছর পর কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল পাকিস্তান। শেষবার ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কোনও সিরিজ জিতেছিল।