সিলেটে বন্যা ও অসাধু ব্যক্তির কারনে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা

Slider সিলেট

IMG_20180707_184251

সিলেট থেকে :: সিলেটে টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট-সারিঘাট সড়কসহ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে উপজেলার সিংহভাগ রাস্তাঘাটের বিভিন্ন অংশ ভেংগে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ত্রিশ কি:মি: রাস্তা বন্যার কারণে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এছাড়া সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের সালুটিকর বাজার থেকে মসজিদের বাজার অংশ, তোয়াকুল কলেজ থেকে বঙ্গবীর পর্যন্ত, খাইরাই থেকে গুরকচি বাজার এবং সতি গ্রাম থেকে গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজ অংশটি দীর্ঘ ১ সপ্তাহ পানির নিচে ছিল। এ রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পরও কিছু অসাধু গরু ব্যবসায়ী ১০/১২ টনের অধিক গরুবাহী ট্রাক নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় সড়কটির অবস্থা আরোও খারাপ হয়েছে।

সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরএবিআরসি-এমজেএ (জেবি) ১লা মার্চ ২০১৬ সাল থেকে সংস্কার কাজ পরিচালনা করে। ইতিমধ্যে এ সড়কটির সিংহভাগ অংশের কাজ শেষ হয়েছে। আকষ্মিক বন্যার পানি এ রাস্তাটিকে তলিয়ে দেওয়ার পর অধিক স্রোতের কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

এছাড়া রাস্তায় পানি থাকাবস্থায় বিছনাকান্দি কোয়ারীর পাথর বুঝাই ট্রাক নিয়মিত চলাচল করায় জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি হুমকির মূখে। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে রাস্তাটি আবার পূর্বের অবস্থানে যাবার আশংকা করা হচ্ছে।

এছাড়া উপজেলার গ্রামীন রাস্তাগুলির দ্রুত সংস্কার কাজ না করলে বড় ধরনের ক্ষতির আসংকা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কটির মেরামতকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরএবিআরসি-এমজেএ (জেবি)’র পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, দীর্ঘ দিন থেকে এ সড়কটির সংস্কার কাজ করে সমাপ্তির পথে। আকষ্মিক বন্যায় এ সড়কটি তলিয়ে যায়। ফলে বন্যার স্রোত ও পাথর বুঝাই ট্রাক এ সড়কটির কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানটি কাজ সমাপ্ত করেও পুনরায় কাজ করে সরকারকে সড়কটি সমজাতে হবে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০ কি.মি. রাস্তা আংশিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এছাড়া সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্যায় ভেঙ্গে কার্পেটিং উঠে গেছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মহসিন বলেন, রাস্তার উপরে পানি থাকাবস্থায় ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। রাস্তা থেকে পানি নামার ৪/৫ দিন পর স্বাভাবিক নিয়মে গাড়ী চলাচল করতে পারবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *