মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, সরকারী চাকুরী প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের সনদপত্র লাগবে। প্রার্থীরা মাদক সেবন করেন কি না! তা জানতে সিভিল সার্জনের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা তাই বলে দেয়।
উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। তবে সরকারী চাকুরী প্রার্থীদের মাদক পরীক্ষা করার উদ্যোগের সঙ্গেই চাকুরীরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে আরো ভাল হয়। কারণ মাদকের ভয়াবহ ছোবলে আক্রান্ত দেশ। এই ছোবল থেকে বাঁচার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে সাধারণত স্বাগত জানিয়েছেন সকল মহল। মাদক নির্মূলে সরকারী এই উদ্যোগ পরিচ্ছন্ন করতে ক্রস ফায়ার বা বে-আইনী কাজ থেকেও বিরত থাকা উচিত। আইনী কাজ করতে গিয়ে যেন বে-আইনী কাজ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। আর যে সকল বে-আইনী কাজের অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা উচিত যেন আর ভুল না হয়।
গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারী চাকুরী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মাদকমুক্ত রাখার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবী রাখে। সব মহল এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে পারেন। একই সঙ্গে চাকুরীরতদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক হলে আরো ভাল হয়। কারণ মাদকের ছোবল আমাদেরকে কতটুকু আহত করেছে, তার গভীরতাও জানা যাবে।
আশাবাদ ব্যক্ত করা যায় যে, সরকারী চাকুরীরত ও চাকুরী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মাদক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হলে, মাদক নিয়ন্ত্রনে কর্মরত সরকারী কর্মচারীরা কোন ভাবেই মাদককে আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে পারবে না। কারণ যারা কাজ করেন, তারা যদি মাদক মুক্ত হয় তবে মাদককে আশ্রয় দিতে তারা লজ্জা পাবেন কিছুটা হলেও।
জাতি আশা করে, সরকারী চাকুরী প্রার্থী ও সরকারী চাকুরীত সহ পর্যায়ক্রমে সকল নাগরিককে মাদক পরীক্ষার আওতায় আনা যায়। প্রয়োজনে এই পরীক্ষাটি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনলেও মন্দ হয় না। দেশকে মাদকমুক্ত করতে সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলকও করা যতে পারে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজ