বিশ্বজুড়ে তেল বাণিজ্যের গতি প্রকৃতি কোন দিকে যাচ্ছে এই বিষয়ে চলছে আলোচনা৷ আদৌ ইরানকে নিষেধাজ্ঞার বাঁধনে আটকে রাখতে পারবে কিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইরানকে স্বস্তি দিল ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বা ইআইবি।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেছে৷ এরপরই ওয়াশিংটনের হুমকি, ইরানের সঙ্গে কোনওরকম তেল বাণিজ্য করা যাবে না৷ এর জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিন্তিত৷ কারণ ইরান আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ১৩ শতাংশ দখল করে আছে৷ ফলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ চিন্তিত৷ ইস্যুটি ঘিরে আমেরিকার সঙ্গে তাদের দূরত্ব বাড়ছে৷ এই অবস্থায় ইআইবি সরাসরি ইরানের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়ে বিতর্ক আরও উস্কে দিল৷
তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই তেহরানের সঙ্গে কাজ করা হবে৷ এই বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সংশ্লিষ্ট ব্যাংকটিকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছে। জানা গেছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ইআইবি’কে ইরানের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন ৫৭৩ জন সদস্য, বিপক্ষে ভোট দেন ৯৩ জন আর ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন ১১ জন।
ইরানের তেল রফতানি বাণিজ্যকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফেলা হলে সমূহ ক্ষতি হবে৷ এর জন্য আরব দেশগুলিকে বিশেষ ভুগতে হবে৷ এমনই হুমকি দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি৷ তিনি জানান, মার্কিন সরকারের অবস্থানে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রবল ধাক্কা লাগতে চলেছে৷