রাশিয়া বিশ্বকাপের নক-আউপ পর্ব থেকে প্রথম ম্যাচেই বিদায় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও রামোস। আর সেই হতাশা থেকেই রামোস বলেছেন, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি জাতীয় দলে থাকতে চান।
তখন বয়স ৩৬ বছর হলেও মুখে সাদা দাড়ি নিয়েই তিনি খেলতে নামবেন।
২০১০ সালে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (৩৪) ও জেরার্ড পিকেকে (৩১) সাথে নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রামোস। এরপর টানা দুটি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরমেন্সের পরে ইতোমধ্যেই ইনিয়েস্তা ও পিকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের পথ ধরে স্পেনের স্বর্ণযুগের আরও সদস্য ডেভিড সিলভা (৩২), পেপে রাইনাদের (৩৫) যাওয়াও প্রায় নিশ্চিত।
তবে ৩২ বছর বয়সী রামোস বলেছেন, জাতীয় দলের হয়ে ১৫৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাকে তিনি আরও বাড়াতে চান। একইসাথে তিনি আরও বলেছেন, তরুণ খেলোয়াড়রা যাতে উঠে আসে সেজন্য তিনি সব সময়ই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।
রামোস বলেন, আমি কখনই খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নই। এটা পুরো দলের শেষ হয়ে যাবার সময় নয়। পিকে, ইনিয়েস্তা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।
কিন্তু তাদের পিছনে অনেক খেলোয়াড়ই দারুণভাবে উঠে এসেছে। দলে দারুণ একটি তরুণ পদ্ধতি আছে। তরুণরা নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই এখানে টিকে আছে। আমি আরও কয়েক বছর খেলতে চাই। তবে অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে রাশিয়া থেকে চলে যাচ্ছি। কাতারে আবারও খেলার লক্ষ্য নিয়েই বাড়ি ফিরছি।
উয়েফা নেশন্স লিগকে সামনে রেখে ফার্নান্দো হিয়েরো হয়ত আর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে থাকছেন না। কিন্তু স্পেন ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই খেলোয়াড়ের প্রশংসাই করেছেন রামোস। টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র একদিন আগে আকস্মিকভাবে দলের দায়িত্ব পেয়ে তিনি যেভাবে স্পেনকে সামলেছেন তা অনেকের পক্ষেই হয়ত সম্ভব ছিলনা।
রামোস বলেন, আমরা কোচকে নিয়ে গর্বিত। যে সাহসিকতার সাথে দিনি দলকে সামলেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। এই ফলাফল সত্তেও সে তার সেরাটা দিয়েছে। সাবেক খেলোয়াড় হওয়াতে ফার্নান্দোর সাথে আমরা খুবই স্বাচ্ছন্দ্য ছিলাম। এটা আমাদের ওপর নির্ভর করে না, কিন্তু ফার্নান্দো যদি দায়িত্বে থাকে তবে খুব একটা খারাপ হবেনা। অধিনায়ক হিসেবে স্প্যানিশ ফুটবলের জন্য যা ভাল সেটাই আমি চাইবো।
রাশিয়ার বিপক্ষে ১ হাজারেরও বেশি পাস করেছে স্পেন। কিন্তু এর মধ্য থেকে গোলের সুস্পষ্ট সুযোগ খুব কমই বের করতে পেরেছে। পজিশন ভিত্তিক এই ধরনে কৌশলে ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বিজয়ী হবার পরে বর্তমান যুগে এটা কতটুকু প্রযোজ্য তা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।
রামোস অবশ্য বলেছেন, প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা মতামত থাকতে পারে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই দর্শনে খেলে আসছি। ফুটবলে ফলাফলই মূখ্য, সে কারণেই এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে।