রাজধানীর শাহবাগ থানার পৃথক দুই মামলায় কোটা সংঙ্কার আন্দোলনের নেতা ফরুক হাসানসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ এ আদেশ দেন।
অপর দুই আসামি হলেন-তারিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশর পরিদর্শক বাহাউদ্দীন ফারুকী আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এসময় আসামিদের আইনজীবী ছিল না এবং জামিনের কোন আবেদনও করা হয়নি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে শাহবাগ থানার ১০ এপ্রিল চারটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এছাড়া ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা মূল গেট ভেঙে ও দেয়াল টপকে বাসায় ঢোকে। তাদের হাতে রড, হকিস্টিক, লাঠি ও বাঁশ ছিল।
এছাড়া বাসভবনের আশপাশেও একাধিক মোটরসাইকেলে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়।
উলেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা (৫৬ শতাংশ) সংস্কারে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ঘোষণা দেন কোনও কোটা থাকবে না বলে। এরপর গত ২ মে এবং সবশেষ গত ২৭ জুন সংসদে একই কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ঘোষণা অনুযায়ী দ্রুত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেয় তারা।