বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে সৌদি আরবের আল আহসা মরুদ্যান।
শুক্রবার জাতিসংঘের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো নতুন সাতটি বিশ্ব ঐতিহ্যের নাম ঘোষণা করেছে।
বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণাকালে ইউনেস্কো জানায়, আরব উপদ্বীপের পূর্বাঞ্চলীয় মরূদ্যান এলাকাটি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ছিল এক সময়। এই প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। পাম বাগান, খেজুরের বাগান, খাল, ঝর্ণা, কূপ ও হ্রদের পাশাপাশি মরূদ্যানে বেশ কিছু পুরনো স্থাপনাও রয়েছে। এ এলাকায় হস্তশিল্প সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত।
আরব উপদ্বীপের এ অংশে মানুষের বসবাস কবে থেকে শুরু হয়েছে তার একটি ধারণা দেয় এই মরূদ্যান। এখন সেখানে কিছু ঐতিহাসিক দুর্গ, মসজিদ, কূপ ও পানি ব্যবস্থাপনার উপকরণ রয়েছে। এসব বিবেচনায় আল আহসা মরূদ্যানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আল আহসা সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে অবস্থিত এক পুরনো শহরের নাম। আল আহসার অবস্থান কাতারের রাজধানী দোহা থেকে মাত্র ২শ’ কিলোমিটার দূরে। এখানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মরুদ্যান অবস্থিত। এ এলাকার জনসংখ্যা প্রচুর। আল আহসায় প্রায়ই বৃষ্টি হয়, এমনকি মাঝে-মধ্যে বন্যাও দেখা দেয়। মরুভূমির মাঝে এমন বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার আচরণ বেশ বিরল ঘটনা।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি লাল চাল আল আহসায় চাষ করা হয়। ‘হেসাবি লাল চাল’ নামে খ্যাত প্রতি কেজি চাল ৫০ রিয়ালেরও বেশি দামে বিক্রি হয়। এই চাল উৎপাদনে পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন হয়। ধানের চারা রোপণের সময় পানি দিয়ে পুরোপুরি ডুবিয়ে দিতে হয় এবং সপ্তাহের পাঁচ দিনই জমিতে সেচ দিতে হয়। সৌদি আরবের মতো জায়গায় এমন সুবিধা আল আহসা ছাড়া অন্য কোথাও নেই।