আপগ্রেডেশন বোর্ড সম্পন্ন করা, নীতিমালা প্রণয়ন, কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও মাস্টারোল কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানসহ চারদফা দাবিতে সোমবার টানা চতুর্থদিনের মত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কর্মচারী ইউনিয়ন। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
জানা যায়, সোমবার টানা চতুর্থদিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরসহ বিভাগগুলোতে কর্মচারীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং ফটকটি বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেও কোনো কোনো বিভাগে ক্লাস চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ফটক খোলা থাকলেও ভিতরে কোনো দায়িত্বরত কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, মেডিকেল সেন্টার এবং অ্যাম্বুলেন্স এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত রয়েছে।
এবিষয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উপাচার্য ক্যাম্পাসে থাকেন না। তিনি নিজে ক্যাম্পাসে না এসে শতাধিক কর্মচারীকে সাক্ষাতকারের জন্য ঢাকায় ডেকেছিলেন। বিষয়টি হাস্যকর ও লজ্জাজনক।
‘
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য যদি ক্যাম্পাসেই না আসেন তাহলে তার কার্যালয় ও বাসভবন কিসের জন্য? প্রশাসনিক ভবন থেকে তার কার্যালয় সরিয়ে ফেলা উচিত। ‘
কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বলেন, ‘চারদফা দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলতেই থাকবে। আমরা আর কোনো আশ্বাস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। ‘
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৯টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করে কর্মচারী ইউনিয়ন।