প্রাপ্য বেতন-ভাতার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর বিতর্কিত নিয়োগের পর আইনি জটিলতা কাটিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে যোগদান করা ২১২ কর্মচারি প্রাপ্য বেতন-ভাতার দাবিতে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন।
এই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়ন এবং জেলার ৪র্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ। আমরন অনশন থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরন অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন আন্দোলনকারীদের নেতারা।
এদিকে স্বাভাবিক কাজকর্ম ফেলে রেখে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আমরন অনশন করায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন হাসপাতালের রোগীরা। ব্যহত হচ্ছে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের কাজ। সহায়ক কর্মচারীরা কাজ না করায় বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর বিতর্কিত পদ্ধতিতে শেবাচিম হাসপাতালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে ২১২ জন কর্মচারী নিয়োগ করে তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই নিয়োগ স্থগিত করে। কর্মচারীরা ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চাদালতে রিট করেন।
ওই বছরের ২২ আগস্ট উচ্চাদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিলে সরকার পক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপীল করে। সুপ্রিম কোর্ট ওই আপিল খারিজ করে দেয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকে নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক। এর প্রেক্ষিতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২১২ কর্মচারীকে যোগদান করায় হাসপাতালের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শেখ আব্দুল কাদের। যোগদানের পর কর্মচারীরা বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করলেও অদ্যবধি বেতন-ভাতা বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।