শনিবার রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। এর আগে ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ১-০ হারিয়েছিল ফ্রান্সকে।
১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার কাছে ২-১ হারতে হয় ফ্রান্সকে। তবে এবার ফলাফল আর্জেন্টিনার পক্ষে যায়নি। কিন্তু ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এই দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখল গোটা ফুটবলবিশ্ব।
মাঠের সেই লড়াইয়ে জয়ী দলের নাম ফ্রান্স। ৪-৩ গোলে এদিন হার মানে মেসিরা। কাজান এরিনায় বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথমার্ধে ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল পেয়ে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের পক্ষে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন গ্রিজম্যান। এরপর আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান ডি মারিয়া।
৪১ ম্যাচের মিনিটে গোল করেন তিনি। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দলই। কিন্তু গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের আর্জেন্টিনা পক্ষে গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন মার্কাডো। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ফ্রান্সের জালে বল জড়ান তিনি। এরপর ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান পাভার্ড। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে এই গোল করেন তিনি। এরপর ফের গোল পায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার জালে তৃতীয় গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন এমবাপে। দলের পক্ষে চতুর্থ গোলটিও করেন এমবাপে। এবারের গোলটি আসে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে।
এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশে নেই নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একাদশে থাকা হিগুয়েন। তবে তার পরিবর্তে প্রথমবারের দলে ফিরেছেন পাভন। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শক্তিশালী দল নিয়েই একাদশ সাজিয়েছে ফ্রান্স। পল পগবার সঙ্গে মিডফিল্ড কাঁপাবেন কান্তে।
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের মধ্যকার ম্যাচে প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন ইরানের রেফারি আলিরেজা ফাঘানি। আলিরেজার সঙ্গে সহকারী হিসেবে আছেন তার স্বদেশি রেজা সোকহানদান ও মোহাম্মদ মনসুরি। চতুর্থ রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন চিলির হুলিও বাসকুনান।