মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘ট্র্যাফিকিং ইন পারসন্সে’ (টিআইপি) বলা হয়েছে বিশ্বে মানব পাচারে শীর্ষে অবস্থান করছে মিয়ানমার ও চীন। বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, চীন, মিয়ারমার, রাশিয়া, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইরান ও উত্তর কোরিয়ায় প্রচুর মানবপাচার হয়। এ তালিকায় আরও রয়েছে গ্যাবন, ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়াসহ কয়েকটি দেশের নাম।
রিপোর্টে বিশ্বের ১৮৭ দেশকে তিনটি ধাপে ভাগ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাচারের শিকারদের রক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণকারী দেশগুলো স্থান পায় প্রথম ধাপে (টায়ার-১)। পাচার রোধে সব উদ্যোগ না নিতে পারলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উদ্যোগ গ্রহণকারীদের স্থান হয় দ্বিতীয় ধাপে (টায়ার-২)। তৃতীয় ধাপকে বলা হয় ‘টায়ার-২ পর্যবেক্ষণ তালিকা’। এখানে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও অনেক নেতিবাচক অবস্থানও থাকে। আর শেষ ধাপ হচ্ছে টায়ার-৩।
‘টায়ার-৩’ তালিকাতেই রয়েছে মিয়ানমার।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, মিয়ানমার থেকে পাচার হওয়ার বেশিরভাগই নিপীড়নের শিকার।