রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ নতুন অস্ত্র তৈরির শিল্পে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে কয়েক বছর অথবা কয়েক দশক এগিয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি রাশিয়ার সামরিক একাডেমিগুলো থেকে পাস করা একদল গ্র্যাজুয়েটের সমাবেশে এ মন্তব্য করেছেন।
পুতিন বলেছেন, আধুনিক অস্ত্রগুলো রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কিছু কিছু সমরাস্ত্র সিস্টেম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে কয়েক বছর অথবা কয়েক দশক এগিয়ে রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট দৃষ্টান্ত হিসেবে তার দেশের ‘অ্যাভানগার্ড’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা তুলে ধরেন যা শব্দের চেয়ে বিশ গুণ দ্রুত গতিতে চলে। এই ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে যাওয়ার সময় আবহমণ্ডলে দিক ও উচ্চতা পরিবর্তন করতে পারে বলে তা যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বা বিমান প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থার জন্য চরম অভেদ্য বা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে বলে পুতিন জানান।
রুশ প্রেসিডেন্ট তার দেশের একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের কথাও উল্লেখ করেন যা দশটিরও বেশি পরমাণু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম এবং ২২০ টন ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে। ‘সারমাট’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র সোভিয়েত যুগের রুশ ‘ভয়েভোডা’ নামক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। ‘ভয়েভোডা’-কে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করা হত এবং পাশ্চাত্যে একে বলা হয় ‘স্যাটান’ বা শয়তান।
পুতিন এমন সময় এসব বক্তব্য রাখলেন যখন রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি এই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত দেখা দিলে ন্যাটো জোট হয়ত রাশিয়ার মত দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে পারবে না, বরং ট্র্যাফিক জ্যামে আটকা পড়তে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আগামী ১৬ জুলাই ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে।