ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চার শতাধিক কেন্দ্র থেকে আজ দুপুরের পর ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তোলা হয়। সেলের পক্ষ থেকে দেওয়া তালিকায় ৯০টি কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বেলা দুইটার দিকেই এসব কেন্দ্র দখল করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ হয়। সকালে ভোট দিয়েই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। এরপর আজ সারা দিনই বিএনপি নির্বাচনে কর্মীদের হয়রানি ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করতে থাকে। বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে হাসান সরকারের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে ৯০টি কেন্দ্রের উল্লেখ করে এসব কেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। এসব অনিয়মের মধ্যে আছে ‘সবার সামনে ব্যালটে সিল মারা’ এবং ‘এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট চুরি’।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘ভোটের দিন ভোর থেকেই গণগ্রেপ্তার ও দফায় দফায় ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ডিবি পুলিশ ধানের শীষের এজেন্ট কেন্দ্র কমিটির ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।’
গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২৫। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নয়টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেছে। কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই নয় কেন্দ্র ছাড়া সব কেন্দ্রে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
তবে ভোট গ্রহণ চলার সময় বেলা একটার পর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ স্থগিতের দাবি জানান বিএনপির প্রার্থী হাসান সরকার। বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে। কমিশনের উচিত স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা।
ভোট বন্ধ করা না হলে কী করবেন—এ প্রশ্নের জবাবে হাসান সরকার বলেন, ভোট বন্ধ না হলেও তিনি শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন।