গাজীপুর:গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও গাছা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের চারটি কক্ষ ঘুরে ধানের শীষ প্রতীকের কোনো এজেন্টের দেখা পাওয়া যায়নি।
গাজীপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল নয়টার দিকে ভোট দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর এলাকার ওই কেন্দ্রটিতে ধানের শীষের কোনো এজেন্টকে পাওয়া যায়নি।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কানজিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল কিংবা আজ সকালে ধানের শীষের পক্ষ থেকে কেউ আমার কাছে রিপোর্ট করেননি।
এর আগে গাজীপুরের কলেজ রোড টঙ্গী এলাকায় বছিরউদ্দিন উদয়ন একাডেমি কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। কেন্দ্রের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সাদাপোশাকে নেতা-কর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। শেষ পর্যন্ত ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তিনি।
কানাইয়া কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট না থাকা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তারা যদি এজেন্ট না দিতে পারে, তাহলে আমি কী করব? আমি তো আর কাউকে বের করে দিইনি। কাউকে কিছু বলিও নি। তারাই কেউ কেন্দ্রে আসেনি।’
গাজীপুরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের গাছা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের চারটি কক্ষ ঘুরে দেখা গেছে, এর তিনটিতে ধানের শীষের পক্ষে কোনো এজেন্ট নেই। তবে একটি কক্ষে নেকমত নামের একজন নিজেকে ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন। তার পরিচয়পত্রে নিজের কোনো ছবি নেই তাঁর। তিনি বিএনপির পোলিং এজেন্ট কিনা জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম দাবি করেন, সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সেখানে আছে। ভোটও সুষ্ঠু হচ্ছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, তাঁর কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৭৭২। সেখানে আটটি বুথ আছে। প্রথম ঘণ্টার প্রতি বুথে ৭০টি করে ভোট পড়েছে।
কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে নারী ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন।
গাছা এলাকার বাসিন্দা ইতি রানী বলেন, ভোটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তারপরও ভোট দিতে পেরে তাঁর আনন্দ লাগছে।
ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, ‘ভিড় এড়ানোর জন্য সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি।’