প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে আমাদের সরকার। যার প্রমাণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী।”
মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক-২০১৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ না করলে সমাজ এগিয়ে যাবে না। সমাজে নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকতে হবে। বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়েনের অঙ্গীকার করে শেখ হাসিনা আরো বলেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সব নারীর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।”
বাংলার নারী জাগরণে বেগম রোকেয়ার ভূমিকা আলোক বর্তিকার। মহিয়সী এই নারীর জন্ম ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর। ১৯৩২ সালের একই দিনে মারা যান তিনি। তাই ৯ ডিসেম্বরকে পালন করা হয় বেগম রোকেয়া দিবস হিসেবে।
এবারের বেগম রোকেয়া দিবসে নারী অধিকারের এই অগ্র সেনাকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সমাজের সবখানেই পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে নারী।”
তিনি বলেন, “চাকরি, রাজনীতি, ব্যবসা সবখানেই বাংলাদেশের নারীরা সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈশ্বিক বিবেচনায় নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অতীতের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। বেগম রোকেয়া বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন এটা দেখে যে, বাংলাদেশ তার স্বপ্ন পূরণে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বেগম রোকেয়া এক সময় স্বপ্ন দেখেছিলেন, একটি নারীস্থান গড়ে তোলার।”
আগামী ৫ বছরে দারিদ্র্য আরো দশ ভাগ কমিয়ে আনতে সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। দারিদ্র মুক্তির এই সংগ্রামে শামিল হতে নারীদের প্রস্তুত হওয়ারও আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখায় কীর্তিমান ২ নারী মমতাজ বেগম এবং গোলাপ বানুর হাতে বেগম রোকেয়া পদক ২০১৪ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।