স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: ধন্যবাদ দিতে হয় কিন্তু আইন সম্মত না হওয়ায় ধন্যবাদ দেয়া গেলো না। কারণ গাসিক রিটানিং অফিসার এই প্রথম ১৩টি তথ্য বাধ্যতামূলক করে একটি নির্ধারিত আবেদন ফরম দিয়েছেন। আর নির্বাচন কমিশন বলছে, ১৩টি তথ্য দেয়ার বিষয়ে কমিশন কিছু জানেনা। তাহলে গাসিক রিটার্নিং অফিসার কেন ১৩টি তথ্য চাইলেন সাংবাদিকদের নিকট, তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
কেউ বলেন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানতে ১১নং কলাম তৈরী হয়েছে। তাহলে রিটার্নিং অফিসার অরাজনৈতিক সাংবাদিকতার পথ উন্মুক্ত করছেন বলেই মনে হচ্ছে। আর তা না হলে নির্বাচনে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এটা করেছেন বলে ধরে নিতে হবে। তবে রাজনৈতিক ব্যাক্তি কাম সাংবাদিকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষনের পরিচয়পত্র দিলে মনে করতে হবে তথ্য সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্যই এটা করা হয়েছিল।
সাংবাদিকেরা বলছেন, এই প্রথম কোন রিটার্নিং অফিসার ১৩টি তথ্যসহ একটি নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র নিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষনের অনুমতি দিচ্ছেন। এই ১৩টি তথ্যের মধ্যে একাধিক তথ্য রয়েছে, যা গনমাধ্যমের একান্তই প্রশাসনিক বিষয়। রাষ্ট্র এ ধরণের তথ্য চাইলে গণমাধ্যমের মালিকানায় হস্তক্ষেপ করা হয়ে যায়।
তথ্য রয়েছে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার সাংবাদিক পরিচয়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে এ রকম বাধ্যবাধকতা দিলেও পরে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার খুলনারমত প্রক্রিয়া চালু করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যমকে বলেছেন, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাহলে খুলনার মত গাজীপুরেও এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা কাম সাংবাদিকেরা যদি সাংবাদিক পরিচয়পত্র পায় তবে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
তবে মিডিয়াকর্মী ও সুশীল সমাজ বলছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না থাকাই উচিত। তবে সেটা রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে হলে ভাল হয়। জেলা ভিত্তিক একটি নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিমৃক্ত সাংবাদিকতার শর্ত আরোপ করে দিলে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক।